এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের নিজেদের শেষ ম্যাচে গোকুলাম কেরেলাকে ২-১ গোলে হারিয়ে আঞ্চলিক সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখলও বাংলাদেশি জায়ান্ট ক্লাব বসুন্ধরা কিংস। কিংসের হয়ে গোল করেছেন রবসন রোবিনহো ও নুহা মারং।
এএফসি কাপে গ্রুপপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টিং ক্লাবকে ১-০ গোলে হারিয়ে এবারের আসরটা শুরুটা ভালোই করেছিল অস্কার ব্রুজেনের শিষ্যরা। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই ছন্দপতন ঘটে কিংসদের। মোহনবাগানের কাছে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে হেরে নকআউট ওঠার সমীকরণটা কঠিনই করে ফেলেছিল বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নরা।
এমন পরিস্থিতিতে বাঁচা-মরার ম্যাচে কলকাতার সল্ট লেক স্টেডিয়ামে শুরুর দুই-তিন মিনিটেই কেরালাকে চেপে ধরে কিংস। সুযোগ তৈরি করেও ফিনিশিংটা হচ্ছিলনা রোবিনহোদের। উল্টো পঞ্চম মিনিটে কিংসের রক্ষণে কাঁপন ধরায় কেরালা। এরপর ম্যাচের ২৭ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে বক্সে ঢুকে কেরালার দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে রোবিনহোর নেওয়া শট লাফিয়ে হাতের স্পর্শে বাইরে ঠেলে দিয়ে কেরালাকে রক্ষা করেন গোলকিপার রাকশিত দাগার।
কিন্তু এরপরও শেষ রক্ষা হয়নি গোকুলাম কেরেলারা। টুর্নামেন্টে টিকে থাকার লড়াইয়ে ম্যাচের প্রথমার্ধের ৩৬তম মিনিটেই গোলের দেখা পায় বসুন্ধরা। এ সময় দলের হয়ে গোলটি করেন বসুন্ধরার ব্রাজিলিয়ান তারকা রবসন রবিনহো। এরপর বিরতির আগ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকেন অস্কার ব্রুজেনের শিষ্যরা।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলাতেও বসুন্ধরার আধিপত্য দেখা যায়। সেই সুবাদে ম্যাচের ৫৪ মিনিটে রোবিনহো-নুহা রসায়নে ব্যবধান বাড়ায় কিংস। বাঁ প্রান্ত থেকে রোবিনহোর মাপা ক্রস গোলমুখে লাফিয়ে উঠে হেডে জালে জড়ান নুহা। ৭৫ মিনিটে এক গোল শোধ দেয় কেরালা। ডান প্রান্ত থেকে জসিমের ক্রসে ছয় গজ বক্সের সামনে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন ফ্লেচার।
এরপর ম্যাচের শেষ পর্যন্ত দুদলই বেশ কয়েকটি আক্রমণ চালায়। গোলের সুযোগ এসেছিল দুদলের। কিন্তু কোনো পক্ষই ম্যাচের চতুর্থ গোলটি করতে পারেনি। ফলে ২-১ গোল ব্যবধানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশি ক্লাবটি।