চট্টগ্রাম লিগে শ্বাসরূদ্ধকর লড়াই শেষে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারালো ফ্রেন্ডস ক্লাব
মুজিববর্ষ সিজেকেএস ইস্পাহানি প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার ফোরের লড়াইয়ে নুর আলমের ক্যামিও ইনিংসে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ১ উইকেটে হারালো ফ্রেন্ডস ক্লাব।
আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.১ ওভারে অলআউট হয়ে ২১৫ রান সংগ্রহ করে নাঈম হাসানের দল। জবাবে মাহফুজুল রবিনের দুর্দান্ত ইনিংসে ১ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ফ্রেন্ডস ক্লাব।
সকালে নগরীর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩০ রানেই টপ অর্ডার ২ ব্যাটারকে হারায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন। এরপর ওপেনার নাকিবও ২৪ রান করে সাজ ঘরে ফিরলে দলীয় ৬২ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা।
এরপর ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ উইকেটে মাহিদুল ও পঞ্চম উইকেটে হাবিবুর রহমানের সঙ্গে জুটি গড়ে দলের হাল ধরেন মাহমুদুল হাসান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন হাবিবুর রহমান ও মাহমুদুল হাসান ৪৩ রান করে সাজ ঘরে ফিরলে ১৭১ রানে ৫ উইকেট হারায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
শেষদিকে নুর আলম ও হিমেল লন্ডি জোড়া আঘাতে স্কোর বোর্ডে ৪৪ রান যোগ করতেই শেষ ৫ উইকেট হারায় নাঈম ইসলাম দল।ফলে ৪৮.১ ওভারে অলআউট হয়ে ২১৫ রান সংগ্রহ করে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। অন্যদিকে ফ্রেন্ডস ক্লার্বের হয়ে একাই ৪ উইকেট নেন নুর আলম।
জবাবে ব্যাট করতে শুরুটা স্বপ্নের মত করে ফ্রেন্ডস ক্লার্বের দুই ওপেনার মাহফুজুল রবিন ও আল আলিফ। উদ্বোধনী জুটিতে এই দুই ব্যাটার মিলে করেন ১০০ রান। ৪৭ রান করে আলিফ ও দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করে রবিন সাজ ঘরে ফিরলে ১৪৬ রানে ২ উইকেট হারায় ফ্রেন্ডস ক্লাব।
এরপর রানের চাকা সচল রেখে ফ্রেন্ডস ক্লাবের ব্যাটাররা জয়ের লক্ষ্যে এগোতে থাকতে তাদের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ান ব্রাদার্সের অধিনায়ক নাঈম হাসান। ইনিংস ৪৪ ও ৪৬ নম্বর ওভারে জোড়া উইকেট শিকার করে পুরো ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় নাঈম। ফলে ১৯৬ রানে ৮ উইকেট হারায় ফ্রেন্ডস ক্লাব।
এরপর ইনিংসের শেষ ২ ওভারে নুর আলমের ক্যামিও ইনিংসে শ্বাসরূদ্ধকর লড়াই শেষে ১ উইকেটের কষ্টার্জিত জয় পায় ফ্রেন্ডস ক্লাব। অন্যদিকে ব্রাদার্সের হয়ে একাই ৪ উইকেট শিকার করে অধিনায়ক নাঈম হাসান।