আবারও সাকিবদের জয়ের নায়ক মোসাদ্দেক
ইন্ডিপেন্ডেনস কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নাটকীয় জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ের ধারা বজায় রেখেছে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে এদিনে তারা বিসিবি নর্থ জোনকে হারায় ২৮ রানে। আগে ব্যাট করতে সেন্ট্রাল জোন সংগ্রহ করে ৫ উইকেটে ২৬২ রান। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে নর্থ জোনের ইনিংস থামে ২৩৪ রানে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শামীম পাটোয়ারীর বলে বোল্ড শুরুতেই সাজ ঘরে ফিরেন মিজানুর রহমান। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সৌম্য ও মজিদের ব্যাট থেকে আসে ৭৭ রান। ৬০ বলে ৪০ রান করে সৌম্যের বিদায়ের পর মজিদের সাথে তৃতীয় উইকেট জুটিতে দ্রুত রান তুলতে থাকেন সাকিব আল হাসান।
ধীর গতির ব্যাটিংয়ে মজিদ অর্ধশতকের দেখা পেয়ে সাজ ঘরে ফিরলে, ৩৬ বলে ৩৩ রান করা সাকিবের ইনিংসের লাগাম টেনে ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এরপর শেষ দিকে আল-আমিন ও মোসাদ্দেকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬২ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন অপরাজিত ব্যাটার মোসাদ্দেক হোসেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে সেন্ট্রাল জোনের মত শুরুতেই উইকেট হারায় নর্থ জোন। মোসাদ্দেকের বলে তানজিদ হাসান তামিমের বিদায়ের পর আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনকে নিয়ে ৮৬ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন নাঈম হাসান।
এরপর ১ রানের ব্যবধানে পরপর উইকেট হারালে কিছু টা চাপে পড়ে নর্থ জোন। তবে চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৬৭ রানের আরও একটি দারুণ জুটি গড়ে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করে করে আউট হন নাঈম। এরপর ম্যাচের বাকি সময় রিয়াদ একাই লড়াই করতে থাকলেও হার এড়াতে পারেনি বিসিবি নর্থ জোন।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭২ রানের ইনিংস খেলেন নাঈম। অন্যদিকে, সেন্ট্রাল জোনের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। ২ টি করে উইকেট নেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও সৌম্য সরকার।
স্কোর:
ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন: ২৬২/৫ (৫০ ওভার)
মজিদ ৫৩, মোসাদ্দেক ৫০*, আল-আমিন ৪৩, সৌম্য ৪০, সাকিব ৩৩, অনিক ১৩* মিজানুর ১০; শফিকুল ২/৬৬, রিয়াদ ১/২১, সানজামুল ২/৩৫, শামীম ১/৩৬।
বিসিবি নর্থ জোন: ২৩৪/৯ (৫০ ওভার) নাঈম ৭২, রিয়াদ ৪৩, ইমন ৩০, শামীম ২৯; মৃত্যুঞ্জয় ৩/২১, সৌম্য ২।/২৮, মোসাদ্দেক ২/৪১, অপু ১/২৭, সাকিব ১/৪৯।