কোয়াবের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হলেন মোহাম্মদ মিঠুন
নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জিতে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়।
এক বছর কার্যত স্থবির থাকার পর বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও নতুন সূচনা করল সংগঠনটি।
বিসিবি একাডেমি ভবনে বৃহস্পতিবার দুপুরে হওয়া ভোটে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে ম্যাচ রেফারি সেলিম শাহেদকে ১৫৪-৩৪ ভোটে হারান মিঠুন।
সন্ধ্যা গড়ানোর আগে ফল ঘোষণা হলে নতুন সভাপতিকে বরণ করে নেন ক্রিকেটাররা।
কোয়াবের নির্বাচনের পদ সংখ্যা ১১টি। এর মধ্যে ১০ পদেই একক প্রার্থী থাকায় ভোটের প্রয়োজন পড়েনি। কেবল সভাপতি পদের লড়াই হয়েছে আজ।
তবে সভাপতি পদেও নির্বাচন হতো না। সাবেক ক্রিকেটার ও ম্যাচ রেফারি সেলিম শাহেদ এই পদে দাঁড়িয়েছেন এই নির্বাচন থেকে স্রেফ অটো পাস তকমা সরাতে।
উল্লেখ্য, নতুন নেতৃত্ব পাওয়ার লক্ষ্যে গত মার্চে সেলিম শাহেদকে প্রধান করে সাজানো হয় ১৩ সদস্যের একটি অ্যাডহক কমিটি।
বিসিবি প্রাঙ্গণে বিকেল ৩টায় নির্বাচন শুরু হয়। পাঁচটা পর্যন্ত ভোট দেওয়ার সুযোগ পান ভোটাররা। এবার স্বশরীরে তো বটেই, অনলাইনেও ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল।
মোট ২১৫ ভোটের মাঝে ১৮৮ জন ভোট দিয়েছেন। যেখানে ১৫৪টি ভোট পেয়েছেন মিঠুন। অন্যদিকে সেলিম শাহেদ পান ৩৪টি ভোট।
এর বাইরে কার্যকরী পরিষদের সদস্য হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন-
- জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্ত
- মেহেদী হাসান মিরাজ
- অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আকবর আলি
- নারী দলের ক্রিকেটার রুমানা আহমেদ
- শামসুর রহমান শুভ
- ইরফান শুক্কুর
- সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট ও
- ইমরুল কায়েস
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের অনানুষ্ঠানিক বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) পর থেকেই কোয়াবের দায়িত্বে ছিলেন নাইমুর রহমান দুর্জয় ও দেবব্রত পাল।
দীর্ঘ ১১ বছর পর এবার নতুন সভাপতি ও কার্যকরী পরিষদ পেল ক্রিকেটারদের এই সংগঠন।
সভাপতি ছাড়া অন্য পদগুলোতে অবশ্য ভোটের প্রয়োজন পড়েনি।
সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ ও সহ-সভাপতি হিসেবে নুরুল হাসান সোহান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।


