সর্বশেষ দল হিসেবে এশিয়া কাপে ইরান
সর্বশেষ দল হিসেবে ২০ জুলাই, রোববার এশিয়া কাপে জায়গা করে নিল ইরান। জর্ডানকে ২-১ গোলে হারিয়ে এশিয়ান কাপের টিকিট কাটল ইরানের মেয়েরা। এ নিয়ে চূড়ান্ত হলো প্রতিযোগী ১২টি দল।
‘সি’ গ্রুপের দলগুলো মিয়ানমারে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলেছিল।
যেখানে তিন ম্যাচের সবকটিতে জিতে প্রথমবারের মতো এএফসি’র মহাদেশীয় এই প্রতিযোগিতায় জায়গা করে নেয় বাংলাদেশের মেয়েরা। এন
যদিও ‘এ’ গ্রুপের বাছাইপর্বে ইরান ও জর্ডানের পয়েন্ট সমান ৯ করে। ৪ ম্যাচে উভয় দলই সমান ৩টিতে জিতেছে।
তবে মুখোমুখি লড়াইয়ে জেতায় অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া ২০২৬ এশিয়ান কাপে সর্বশেষ দল হিসেবে জায়গা নিশ্চিত করেছে ইরানের মেয়েরা।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বার তারা এশিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছে।
শিষ্যদের নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ইরানিয়ান কোচ মারিজিয়েহ জাফরি বলেন,
‘ইরানের মানুষদের হৃদয় পূর্ণ করতে পারায় আমি অনেক খুশি। এএফসি এশিয়ান কাপে উত্তীর্ণ হওয়া সহজ ছিল না।’
কঠিন পরিস্থিতি, মনস্তাত্ত্বিক চাপ নিয়েও মেয়েদের এই সাফল্য প্রসঙ্গে কোচ জানান,
‘আমরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আসি অনেক কঠিন পরিস্থিতি, নিবিড় ক্যাম্প, লজিস্টিক্যাল সীমাবদ্ধতা এবং অনেক মনস্তাত্ত্বিক চাপ নিয়ে। তবে আমাদের খেলোয়াড়রা প্রত্যাশার বাইরে গিয়ে পারফর্ম করেছে।’
মেয়েরা যে নিজেরাই নিজেদের অনুপ্রেরণা যোগান দিয়ে লড়াই করে গেছে তা নিয়েও মারিজিয়েহ জাফরি বলেন-
‘মেয়েরা কেবল কৌশলগত সামর্থ্যেরই প্রমাণ দেয়নি, নিজেদের মানসিকভাবে শক্তিশালী করে এই পর্যায়ে ওঠার প্রেরণাও খুঁজে নেয় তারা।’
আসন্ন এশিয়ান কাপে আয়োজক অস্ট্রেলিয়াসহ বাছাই ছাড়াই জায়গা করে নেয় এশিয়ান পাওয়ার হাউজখ্যাত জাপান, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া।
পরে বাছাইপর্ব থেকে একে একে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় ভারত, বাংলাদেশ, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, উজবেকিস্তান, ফিলিপাইন্স ও উত্তর কোরিয়া।
২৯ জুলাই, মঙ্গলবার এশিয়ান কাপের ড্র অনুষ্ঠিত হবে। ড্র-য়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে একই পটে রয়েছে ইরানের মেয়েরা।
প্রসঙ্গত, ১৯৮০ সালে কুয়েতে বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দল খেলেছিল তাদের প্রথম এশিয়া কাপ। ২০২৬ সালে বাংলাদেশের নারীরা খেলবে প্রথম নারী এশিয়া কাপ।
আগামী মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় হবে নারী এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্ব।
সেখানে ১২ দলের মধ্যে প্রথম ছয়ে থাকলেই ২০২৭ নারী বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ মিলবে।
সেরা আটে থাকলে সুযোগ থাকবে আন্তমহাদেশীয় প্লে-অফ খেলে বিশ্বকাপে যাওয়ার। বাংলাদেশের মেয়েদের এমন দুর্দান্ত অর্জন নারী ফুটবলে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত খুলে দিয়েছে।