আজ (৩০ জুন, সোমবার) মিরপুরে বোর্ড সভায় পূর্বের মতো এ মৌসুমেও ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বিপিএল আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।
নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান।
নতুন আসরে বেশ কিছু নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজিও যুক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।
এবারের টুর্নামেন্টটি আয়োজনের জন্য বিদেশি একটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এ ছাড়া বিপিএল কমিটিতে বিসিবির বাইরের ব্যক্তিকে রেখে স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা করা হবে।
বিপিএলের মাস ছয়েক বাকি থাকলেও এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি কয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে। এমনকি কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি থাকছে তাও নিশ্চিত নয়।
তবে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল নিশ্চিত করেছেন নতুন ও পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি যারাই আগামী আসরে অংশ নেবে তাদের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি করবে বিসিবি।
এ ক্ষেত্রে মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতেও দ্বিধা করবে না বিসিবি।
এবারের বিপিএলে ভেন্যু বাড়ানোর আশ্বাসও দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।
এদিকে আগস্টে ভারতের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে ও সমানসংখ্যক টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
তবে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, তাঁরা পূর্বনির্ধারিত সময়েই সিরিজটি আয়োজন করতে চাইছেন। এ নিয়ে এখনো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
ভারত সরকারের পক্ষ থেকেই বাংলাদেশ ছাড়া আরও কয়েকটি সফরের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলে দাবি আমিনুলের।
আজকের সভায় বিসিবি অ্যাওয়ার্ড নাইট পুনরায় চালু করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রতিটি অঞ্চলের ক্রিকেটারদের স্কিল ও ফিটনেস বাড়াতে নতুন করে কিছু ট্রেনিং প্রোগ্রাম শুরু করতে চায় বিসিবি।
আম্পায়ারিংয়ের জন্য পরামর্শক হিসেবে আইসিসি এলিট প্যানেলের সাবেক আম্পায়ার সায়মন টফেলকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিন বছর সময়ের জন্য তিনি বিসিবিকে আম্পায়ারিংয়ের গ্রেডিংয়ের বিষয়ে সাহায্য করবেন।
ক্রিকেটারদের জন্য পূর্বাচলে একটি হাই পারফরম্যান্স সেন্টার করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।