খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

রবিবার, ১৩ই জুলাই ২০২৫

পিএসএল শিরোপা জিতে কত টাকা পেল সাকিব-রিশাদদের লাহোর

শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, আশপাশে উল্লাসে মেতে উঠেছেন তাঁর সতীর্থরা। ২০২৫ পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) চ্যাম্পিয়ন হিসেবে লাহোরের জন্য স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকবে এটি।
তবে শিরোপার বাইরেও প্রাপ্তি থাকে, থাকে অর্থযোগ। শুধু চ্যাম্পিয়ন নয়, ফাইনালে হারা রানার্সআপ দলও পায় ট্রফি আর টাকা।

এ ছাড়া টুর্নামেন্টসেরা, ফাইনালসেরা, সেরা ব্যাটসম্যান, সেরা বোলার, সেরা ফিল্ডারসহ আরও নানা পুরস্কার তো থাকেই। গত রাতে পিএসএলের দশম আসর শেষেও এমন নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন অনেকেই। পেয়েছেন অর্থকড়ি।

ফাইনালে কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সকে ৬ উইকেটে হারানো রিশাদ–সাকিব–মিরাজের দল লাহোর চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পেয়েছে ১৪ কোটি পাকিস্তানি রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি ৫ লাখ টাকার কাছাকাছি। আর মার্কিন ডলারে ৫ লাখ।
রানার্সআপ হওয়া কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্স পেয়েছে ২ লাখ মার্কিন ডলার বা ৫ কোটি ৬০ লাখ পাকিস্তানি রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২ কোটি ৪১ লাখ টাকার বেশি।

পিএসএল শিরোপা জিতে কত টাকা পেল সাকিব-রিশাদদের লাহোর

এবারের পিএসএলে টুর্নামেন্টসেরা খেলোয়াড় হয়েছেন হাসান নেওয়াজ। কোয়েটায় খেলা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান রান করেছেন ৩৯৯। টুর্নামেন্টসেরা হিসেবে পেয়েছেন ৩০ লাখ পাকিস্তানি রুপি।
এর পাশাপাশি আরেকটি পুরস্কারও পেয়েছেন নেওয়াজ—একটি বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি বিওয়াইডি সিল।

পিএসএল টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটসম্যানের পুরস্কার হিসেবে ৩৫ লাখ পাকিস্তানি রুপিও পেয়েছেন নেওয়াজ। এ ছাড়া-

  • ৩৫ লাখ রুপি করে অর্থ পুরস্কার পেয়েছেন শাহিন আফ্রিদি (সেরা বোলার),
  • আবদুস সামাদ (সেরা ফিল্ডার),
  • সিকান্দার রাজা (সেরা অলরাউন্ডার),
  • মোহাম্মদ হারিস (সেরা উইকেটকিপার) এবং
  • মোহাম্মদ নাঈম (সেরা উদীয়মান)।

ফাইনালে কোয়েটার ২০১ রান তাড়ায় লাহোরের হয়ে ৩১ বলে ৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন কুশল পেরেরা। যে ইনিংসের জন্য ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ৫০ লাখ পাকিস্তানি রুপি পেয়েছেন এই শ্রীলঙ্কান।

পিএসএল শিরোপা জিতে কত টাকা পেল সাকিব-রিশাদদের লাহোর

বিপিএল, পিএসএল ও আইপিএল—প্রাইজমানি কোথায় কত?

প্রাইজমানির দিক থেকে বিপিএলের চেয়ে বেশ এগিয়েই থাকবে পিএসএল। চলতি বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন, রানার্স-আপ এবং ব্যক্তিগত সকল পুরস্কার মিলিয়ে বরাদ্দ ছিল ৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

আসরটিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ফরচুন বরিশাল ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থ পুরস্কার পেয়েছে। এর আগের আসরে বিপিএল চ্যাম্পিয়নরা পেত ২ কোটি টাকা।
এ ছাড়া এবারের রানার্সআপ চিটাগাং কিংস ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থ পুরস্কার পায়।

অন্যদিকে, বিশ্বের জনপ্রিয় এবং আভিজাত্যে ভরপুর ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোর ভেতর সবচেয়ে এগিয়ে আইপিএল। ফলে আর্থিক অঙ্কেও যে ভারতীয় এই প্রতিযোগিতার ধারেকাছে কেউ থাকবে না সেটাই স্বাভাবিক।

যদিও এবার আইপিএলের প্রাইজমানি ঘোষণা করা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে গত বছরের মতোই বরাদ্দ থাকছে চলমান অষ্টাদশ আসরেও।
যেখানে চ্যাম্পিয়ন দল জিতেছিল ২০ কোটি রুপি বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ২৭ কোটি টাকা। আর রানার্সআপ দলকে দেওয়া হয় ১২.৫০ কোটি রুপি বা ১৭ কোটি টাকা।

এ তো গেল দলীয় হিসাব, এর বাইরে টুর্নামেন্টসেরা, সর্বোচ্চ রান-উইকেট-স্ট্রাইকরেট ও বাউন্ডারিসহ সবমিলিয়ে ব্যক্তিগত পরিসরে ১.৫৫ কোটি রুপি বরাদ্দ থাকছে আইপিএল আসর শেষে।

এ ছাড়া প্রতিটি ম্যাচেই ৬টি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে অর্থ-পুরস্কার প্রদান করা হয়। ম্যাচপ্রতি ক্রিকেটাররা পেয়ে থাকেন প্রায় ৬ লাখ রুপি।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy