এক ট্রফিতে দুই!
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ঠিক আগের কয়েকটি বাজে পারফরমেন্সের ফলে ক্ষুব্ধ সমালোচকদের বিস্ফোরিত প্রশ্নের তীরের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন ভারতের কাপ্তান রোহিত এবং কোচ গম্ভীর। অবশেষে ফাইনালে শেষ হাসি হেসেই সব থেকে মিললো রক্ষা। এ যেন এক ট্রফিতে দুই জীবন আটকে থাকার গল্প।
রোহিত শর্মার নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পরেও প্রশ্ন উঠেছিল তার নেতৃত্ব নিয়ে। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হার, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে হার চাপে ফেলে দিয়েছিল রোহিতকে। চাপে ছিলেন কোচ গৌতম গম্ভীরও।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিততে না পারলে তার চাকরি যেতে পারে, এমন একটা গুঞ্জনও বাড়ছিল। সেই সব আপাতত বন্ধ। কারণ কথায় আছে, ট্রফি সব খুঁত ঢেকে দেয়।
ভারতের অন্যতম সেরা অধিনায়ক মনে করা হয় বিরাট কোহলিকে। কিন্তু একটিও ট্রফি জিততে পারেননি তিনি। বিভিন্ন প্রতিযোগিতার নক আউটে হেরেছিল ভারত। যে কারণে ভারতের অন্যতম সফল অধিনায়ক (ম্যাচ জয়ের শতাংশের হিসাবে) হয়েও দায়িত্ব ছাড়তে হয়েছিল কোহলিকে। সেই জায়গায় দায়িত্ব নেন রোহিত।
ইতিমধ্যে তার নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছে ভারত। রোহিতের নেতৃত্বে শুধু একদিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে হারতে হয়েছিল ভারতকে। কিন্তু দু’টি আইসিসি ট্রফি আপাতত সব সমালোচনা ঢেকে দিয়েছে।
ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত বছর টেস্ট সিরিজ হেরেছিল ভারত। ১০ বছর পর বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিটাও খোয়াতে হয়েছিল ভারতকে। সিরিজের শেষ ম্যাচে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন অধিনায়ক রোহিত। যা বুঝিয়ে দিয়েছিল কতটা চাপে রয়েছে দল।
২০২৪ সালের জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। তারপরেই কোচের দায়িত্ব ছেড়েছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। সেখান থেকে দায়িত্ব নেন গম্ভীর। কিন্তু শুরুতেই শ্রীলঙ্কার মাটিতে একদিনের সিরিজে হার।
এরপর একের পর এক টেস্ট সিরিজে হার গৌতমকে আরও গম্ভীর করে দিয়েছিল। চাপ বৃদ্ধি পেয়েছিল ড্রেসিংরুমের কথা ফাঁস হয়ে যাওয়ায়।
বোর্ড ১০ দফা নিয়ম জারি করেছিল দলের ওপর। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে বাধ্য হয়েছিলেন রোহিত, কোহলিরা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে আসার সময়েও মানতে হয়েছে বহু নিয়ম। তবে ট্রফি জয় আপাতত সেই সব কিছুকে পেছনে ফেলে দেবে।
ট্রফি জেতার পর সংবাদ সম্মেলনে এসে অবসর নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দেন রোহিত। জানিয়ে দেন, তিনি একদিনের ক্রিকেট খেলবেন। ম্যাচের শেষেও যেসব কথাবার্তা বলছিলেন তাতে স্পষ্ট যে, খেলা চালিয়ে যেতে চান।
বিশেষত একদিনের ক্রিকেট। এমনকী ২০২৭ বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিলেন না। বারবার তার মুখে উঠে এলো আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার কথা। জানালেন, এভাবেই খেলা চালিয়ে যাবেন।