ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) তৃতীয় রাউন্ডের শেষ দিনে সোমবার (১০ মার্চ) ম্যাচ ছিল তিনটি। তিন ভেন্যুতে মাঠে নেমেছিল ছয়টি দল। মিরপুরে শাইনপুকুরের দুর্দশা হলেও আজ জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ এবং অগ্রণী ব্যাংক।
বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে নুরুল হাসান সোহানের দলকে হারিয়েছে এনামুল হক বিজয়ের দল।
টস জিতে ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স সংগ্রহ করে ৭ উইকেটে ২৯৮ রান।দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন অধিনায়ক বিজয়। এছাড়া শামসুর রহমান শুভ করেন ৬০ রান এবং আমিনুল ইসলাম বিপ্লব করেন ৪৪ রান। ধানমন্ডির হয়ে ৪ উইকেট নেন স্পিনার সানজামুল ইসলাম।
বড় রান তাড়া করতে নেমে ১২৩ রানেই গুটিয়ে যায় ধানমন্ডির দল। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সোহান। গাজীর হয়ে ৩ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার ওয়াসি সিদ্দিকী।
বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে আরেক ম্যাচে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে জয় পেয়েছে অগ্রণী ব্যাংক।
৬ উইকেটের ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে রাজিন সালেহের শিষ্যরা। গুলশানের দেওয়া ২২৩ রানের লক্ষ্য সহজেই পেরিয়ে যায় অগ্রণী ব্যাংক। গুলশানের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন লিটন দাস।
মাঝারি লক্ষ্যের জবাবে ব্যাট কতে নেমে অগ্রণী ব্যাংকের ইমরান উজ্জামানের ৭৫ এবং অমিত হাসানের ৬৩ রানে ভর করে জয় পায় তারা। গুলশানের হয়ে ২ উইকেট সংগ্রহ করেন মেহেদী হাসান।
অন্যদিকে মিরপুরের উইকেট যেনো রহস্যময়, ক্ষণে ক্ষণে বদলায় চিত্র।
রবিবার এই মাঠেই প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে রেকর্ড গড়ে ৪২২ রান করেছিল, যা দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দলীয় সর্বোচ্চ রান।
কিন্তু মাত্র এক দিনের ব্যবধানে যেন বদলে গেল মিরপুরের পিচ! সোমবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) তৃতীয় রাউন্ডের শেষ দিনে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব মাত্র ৬৯ রানেই অলআউট হয়ে গেল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে।
তৃতীয় রাউন্ডের শেষ দিনে মিরপুরে লড়ছিল শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব এবং লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। যেখানে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬৯ রানেই অলআউট হয়ে যায় শাইনপুকুর দল।
দলের হয়ে কোনো ব্যাটারই পাননি বড় রানের দেখা। সর্বোচ্চ মইনুল ইসলাম তন্ময় করেন ১৮ রান। রূপগঞ্জের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন রেজাউর রহমান রাজা এবং তানভীর ইসলাম। এছাড়া ২টি উইকেট নেন শেখ মেহেদী হাসান।
৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায়। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম করেন ৩৫ রান এবং সাইফ হাসান করেন ৩৯ রান।