খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

শুক্রবার, ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বাফুফে সভাপতির কমিটিই গঠনতন্ত্র বর্হিভূত!

বাফুফের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্ট্যান্ডিং কমিটি জাতীয় দল। ৯ নভেম্বর নবনির্বাচিত কমিটির প্রথম সভায় ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়াল জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত হন। তিন মাস পর আজ (বৃহস্পতিবার) পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে।

জাতীয় দল কমিটির আকার ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বিবরণ রয়েছে বাফুফের গঠনতন্ত্রের ৪৭ অনুচ্ছেদে। সেখানে সুস্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে– কমিটির একজন চেয়ারম্যান, ডেপুটি চেয়ারম্যান ও সাতজন সদস্য, অর্থাৎ মোট নয় জনের কমিটি। অথচ বাফুফে প্রকাশিত জাতীয় দল কমিটির মোট সদস্য সংখ্যা ১২ জন, যা গঠনতন্ত্র বর্হিভূত।

একটি সংগঠনের মূল নির্দেশিকা গঠনতন্ত্র। অন্য সকল কমিটিতে ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলেও সভাপতির কমিটি গঠনতন্ত্রের আঙ্গিকেই গঠিত হওয়া কাম্য। অথচ সভাপতির কমিটিই গঠনতন্ত্র প্রকৃতভাবে অনুসরণ করেনি।

বাফুফের গঠনতন্ত্রে ১৯টি স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠনের আকার নিয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। এর বাইরে বাফুফে প্রয়োজনবোধে অ্যাডহক কমিটি করতে পারে। সেই কমিটির আকার গঠনতন্ত্রে উল্লেখ না থাকায় এর পরিধি অনেক বেশি হলেও অসমীচীন নয়। কিন্তু গঠনতন্ত্রে নির্দেশিত কমিটিগুলো সেই আলোকে গঠন না করা হলে সেটা স্পষ্টতই গঠনতন্ত্রের নির্দেশনা অমান্যের শামিল।

বাফুফের বাংলাদেশ জাতীয় দল কমিটি

গঠনতন্ত্রের ৪২ অনুচ্ছেদে রয়েছে অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটির রূপরেখা। সেখানে একজন চেয়ারম্যান, ডেপুটি চেয়ারম্যান ও তিনজন সদস্য হওয়ার কথা। বাফুফের প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রয়েছেন ৬ জন। টেকনিক্যাল কমিটিও নয় জনের পরিবর্তে ১১ জনের। সাধারণত সক্রিয় ফুটবলাররা ফেডারেশনের কোনো কমিটিতে থাকেন না। অথচ এবার বিচ ফুটবল কমিটিতে আছেন পেশাদার লিগে নিবন্ধিত এক ফুটবলার। যদিও গঠনতন্ত্রে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা নেই এই সংক্রান্ত বিষয়ে।

বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল জাতীয় দল কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে রেখেছেন ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসানকে। কমিটির অন্য ১০ জন সদস্যের মধ্যে ছয়জনই নির্বাহী কমিটির সদস্য– ইকবাল হোসেন, ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ, সত্যজিত দাশ রুপু, আমিরুল ইসলাম বাবু, ছাইদ হাসান কানন, সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহীন। বাকি চার সদস্য হলেন– ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যানেজার আমের খান, ফর্টিজ ক্লাবের স্বত্ত্বাধিকারী শাহাদাত হোসেন, বিসিবি ও মোহামেডান ক্লাবের পরিচালক মঞ্জুরুল আলম ও মুকিতুর রহমান। মুকিতুর রহমান ছাড়া বাকি সবাই ক্রীড়াঙ্গনে যথেষ্ট পরিচত।

তাবিথ আউয়াল ২০১২-২০ সাল পর্যন্ত ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ছিলেন। সেই সময় তিনি ডেপুটি চেয়ারম্যান ছিলেন জাতীয় দল কমিটির। এবার সভাপতি হওয়ার পর নিজেই সেই কমিটির প্রধান হয়েছেন। সালাউদ্দিনের সর্বশেষ মেয়াদে জাতীয় দল কমিটিতে থাকা সত্যজিত দাশ রুপু, ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ, মঞ্জুরুল আলম এবারও আছেন তাবিথের কমিটিতে।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy