খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

বৃহস্পতিবার, ৩১শে জুলাই ২০২৫

রংপুরের কপাল পুড়িয়ে শীর্ষ দুইয়ে চিটাগং

চলমান বিপিএলে টানা আট ম্যাচ জিতে সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিল রংপুর রাইডার্স। সে সময় অনেকেই ভেবেছিল যে টেবিল টপার হয়েই গ্রুপ পর্ব শেষ করবে রংপুর। কিন্তু পরের চার ম্যাচেই হারতে হয়েছে তাদের। এতে প্লে-অফ নিশ্চিত হলেও সেরা দুই নিয়ে শঙ্কায় ছিল তারা।

কারণ, গ্রুপ পর্বের শেষ বরিশালকে হারাতে পারলেই দ্বিতীয়স্থানে উঠবে চিটাগং। আর এই সমীকরণ মিলাতে ভুল করেননি বন্দরনগরীর দলটি। বরিশালকে ২৪ রানে হারিয়ে সেরা দুইয়ে উঠেছে তারা। প্রথম সেমিফাইনালে হারলেও আরও একটি সুযোগ পাবে চিটাগং। বিপরীতে রংপুরকে খেলতে হবে এলিমিনেটর ম্যাচ। যেখানে খুলনাকে না হারাতে পারলে টুর্নামেন্ট শেষ হবে রংপুরের।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) আগে ব্যাট করতে নেমে বরিশালকে ২০৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল চিটাগং। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ১৮২ রান তুলতে পারে বরিশাল। এতে ২৪ রানের জয় পায় চিটাগং। আর তাতেই কপাল পোড়ে রংপুরের।

বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুর ওভারেই ওপেনার তামিম ইকবালের উইকেট হারায় বরিশাল। স্কোরবোর্ডে কোনও রান যোগ হওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার। ১৩ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় তারা। এবার ১১ বলে ৯ রান করা তাওহীদ হৃদয়কে আলিস ইসলামের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরত পাঠান খালেদ আহমেদ।

মুশফিকুর রহিম থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২২ বল খেলে ২৪ রান করে আলিসের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাকে সাথে নিয়ে দলের হাল ধরেন ডেভিড মালান।

এক প্রান্ত আগলে রেখে ঝোড়ো ব্যাটিং করা মালানকে থামান আলিস আল ইসলাম। ৩৪ বলে ৬৭ রান করা এই ব্যাটার গ্রাহাম ক্লার্কের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। মোহাম্মদ নবি ফেরেন কোন রান না করেই। আরাফাত সানির বল বড় শট খেলতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনের কাছে শামীমের হাতে ধরা পড়েন এই আফগান। ১০ বলে ১১ রান করা রিশাদ হোসেন কাটা পড়েন রানআউটে।

ইনিংসের চার বল বাকি থাকতে বিনুরা ফার্নান্দোর বলে শরিফুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন জেমস ফুলার। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১১ বলে ১৮ রান। ২৬ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এতে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান তুলতে পারে বরিশাল। আর ২৪ রানে জয় পেয়েছে চিটাগং।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চিটাগংকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন খাজা নাফি ও পারভেজ ইমন। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৫৫ রান তুলতে পারে বন্দরনগরীর দলটি।

তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি নাফি। ১৯ বলে ২২ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি। কিন্তু ব্যাট চালিয়ে ৩১ বলে ফিটটি তুলে নেন ইমন। এরপর পিচে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তিনি। ৪১ বলে ৭৫ রান করে আউট হন এই তরুণ ব্যাটার। ২১ বলে ২৬ রান করে তাকে সঙ্গ দেন গ্রাহাম ক্লার্ক।

এরপর ২ বলে শূন্য রান করে মিথুন আউট হলেও চতুর্থ উইকেটে ব্যাট করতে এসে দ্রুত রান তুলতে থাকেন হায়দার আলী। তাকে সঙ্গ দিয়ে ব্যাট চালান শামীম পাটোয়ারিও। শেষ পর্যন্ত শামীমের ১২ বলের ৩০ রান এবং হায়দারের ২৩ বলের অপরাজিত ৪২ রানে ভর করে ২০৬ রানের বড় পুঁজি পায় চিটাগং কিংস।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy