বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট প্রতিস্থাপন শুরু
প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে চলা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজের শেষভাগে এখন অপেক্ষা ফ্লাডলাইট প্রতিস্থাপনের। এলইডি আধুনিক ফ্লাডলাইটের ওজন বেশি হওয়ায় প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিশেষজ্ঞ মতামত চেয়েছিল। সেই মতামতের আংশিক প্রতিবেদন আজ প্রকাশ হয়েছে।
বুয়েটের অধ্যাপক রাকিব আহসানের নেতৃত্বাধীন টিম বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট টাওয়ারের সক্ষমতা বিশ্লেষণ করেছে। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, টাওয়ারে ৫৫ টি লাইট স্থাপন করা যাবে। এই সম্পর্কে অধ্যাপক রাকিব বলেন,
‘চারটি টাওয়ারে ৫৫ টি করে লাইট বসানো যাবে। আমরা এ রকম একটি প্রতিবেদন দিয়েছি। লাইটের ওজন এবং টাওয়ারের ভার গ্রহণের ক্ষমতা বিবেচনা করে আমরা ৫৫ টা পর্যন্ত সুপারিশ করেছি।’
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামটি মূলত ফুটবল এবং অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনই ব্যবহার করে থাকে। আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ রাতে আয়োজনের জন্য ১৬০০-২০০০ লাক্স আলোর প্রয়োজন পড়ে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এবার ফ্লাডলাইটের মাধ্যমে ২৫০০ লাক্সের ব্যবস্থা করতে চলেছে। চারটি টাওয়ারে সর্বোচ্চ ৫৫ টি করে মোট ২২০ টি লাইট বসাতে হবে। তবে, এতে নির্ধারিত লাক্স পূরণ করা সম্ভব নয়। এজন্য, বাকি ১৬০ লাইট গ্যালারী শেডে বসানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
বিশ্বের আধুনিক দেশের স্টেডিয়ামগুলোতে এখন গ্যালারীর শেডেই ফ্লাডলাইট থাকে। বাংলাদেশে সকল স্টেডিয়াম ফ্লাডলাইট বৈদ্যুতিক টাওয়ারের উপরে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই প্রথম গ্যালারী শেডে লাইট বসনোর কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। তবে, সুপারিশ অনুযায়ী গ্যালারীর শেডে এলইডি লাইট স্থাপন করা যাবে কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞ দল। এই সংক্রান্ত রিপোর্ট আগামী সপ্তাহে প্রদান করার কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক রাকিব জানান,
‘বাকি লাইটগুলো কেনোপি পদ্ধতি (গ্যালারী শেড) স্থাপন করা যাবে কিনা সেটা আমরা আগামী সপ্তাহে প্রতিবেদন দেব।’
অপরদিকে বিশেষজ্ঞদের প্রতিবেদন পাওয়ার পর আজ থেকে টাওয়ারে লাইট স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। পুরোনো লাইট আগেই খুলে রেখেছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। বিশেষজ্ঞ প্রতিবেদনের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে হবে বলে জানা গেছে।