নিম্নমানের বিদেশি ক্রিকেটার দলভুক্ত করা, পর্যাপ্ত ক্রিকেট কিট সেটের অভাব, সবশেষে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক আটকে রাখার বিতর্ক! একের পর এক নামের মতোই দুর্বার কীর্তিকলাপ করেই চলেছে দুর্বার রাজশাহী; তবে সেটা মাঠে না, মাঠের বাইরে।
অনেক বিতর্কের পর ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের ২৫ শতাংশ অবশ্য রাজশাহী পরিশোধ করেছে। কিন্তু একই সাথে প্রশ্নও উঠছে, দলটার আসল মালিক কে? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিতর্ক আছে ফ্রাঞ্চাইজিটির মালিকানা নিয়ে। অন্ততপক্ষে, তিনজনের কাছে আছে এক রাজশাহীর মালিকানা!
এক সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, শুরুতে কবির নেওয়াজ নামের বিসিবির এক শীর্ষস্থানীয় কর্তার ব্যবসায়ী বন্ধু রাজশাহী ফ্রাঞ্চাইজিটি কেনেন। টিম এন্ট্রি ফির দেড় কোটি টাকার অর্ধেক তিনিই পরিশোধ করেন।
এরপর সেই মালিকানায় অংশ নেন তারই ভাগ্নে রাজশাহীর ক্রীড়া সংগঠক ইমতিয়াজ জামিল দীপন এবং সিসিডিএম কো-অর্ডিনেটর আমিন খান! তিনি চল্লিশ লাখ টাকা দিয়ে মালিকানার অংশ হন।
কিন্তু মালিকানা নিতে কনসোর্টিয়াম প্রয়োজন বলে ভ্যালেন্টাইন গ্রুপকে যুক্ত করেন আমিন খান। এই একই গ্রুপের অধীনেই ছিল বিপিএলের বহু আলোচিত-সমালোচিত ঢাকা ডমিনেটর্স।
মালিকানার অংশ হয়েই জেঁকে বসে ভ্যালেন্টাইন গ্রুপ এবং শফিক রহমান। বিসিবির কাছে তারা পূর্ণ মালিকানা দাবিও করে এবং ড্রাফটের আগের রাতে রাজশাহীর একক মালিক হিসেবেই আবির্ভূত হয় ভ্যালেন্টাইন গ্রুপ।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কবির নেওয়াজ বলেন,
“এই বিষয়টি নিয়ে পরে কথা বলবো। এখন একটু ঝামেলার মধ্যে আছি। ফ্রি হলে আলোচনা করবো।”
সূত্র বলছে, ঢাকায় টিম হোটেলের টাকাও পুরোপুরি পরিশোধ করেনি রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। কয়েকজন ক্রিকেটার এখনও পঁচিশ শতাংশ পারিশ্রমিক পাননি। এমনকি জানা গেছে, ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের যে পঁচিশ শতাংশ দেয়া হয়েছে; সেটাও প্রথম মালিক কবির নেওয়াজের মাধ্যমে।