দুর্বার বিজয়ের শতকের দিনে খুলনা টাইগার্সের জয়!
আজ বিপিএলে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচটা হয়েছে রোমাঞ্চে ঠাসা। চট্টগ্রাম পর্বে এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানের টার্গেটের এই ম্যাচে একদম শেষে গিয়ে দুর্বার রাজশাহীকে ৭ রানে পরাজিত করে খুলনা টাইগার্স। খুলনার হাসান মাহমুদ এর দারুণ বোলিং নৈপুণ্যে শেষ ওভারে নাটকীয় জয় পায় খুলনা। রাজশাহীর অধিনায়ক বিজয় হাঁকিয়েছেন লড়াকু এক সেঞ্চুরি। ম্যাচ সেরা হোন হাসান মাহমুদ।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় খুলনা টাইগার্স। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোভাবেই করেছে খুলনা। নাঈম শেখের সাথে এদিন ওপেনিংয়ে নামেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। উদ্বোধনী জুটি থেকে চলে আসে ৪২ রান। ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ে ১৪ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরেছেন নাঈম শেখ।
ব্যাট হাতে দারুণ মারমুখি ছিলেন মিরাজও। ১৩ বলে ২৬ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে দলের ৫৪ রানের মাথাতে আউট হয়েছেন তিনি। পাওয়ারপ্লের শেষ বলে আউট হন অ্যালেক্স রস। ৩ উইকেট হারালেও প্রথম ৬ ওভারে ৬০ রান তুলেছে খুলনা টাইগার্স, পাওয়ারপ্লের ফায়দা লুটেছে সুদে-আসলে।
পাওয়ারপ্লে শেষে দলের হাল ধরেছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং উইলিয়াম বোসিস্তো। সময়ের সাথে সাথে ক্রিজে জমে যান দুজন। দারুণ কার্যকরী ব্যাটিংয়ে এগিয়েছেন আফিফ-বোসিস্তো। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বাড়িয়েছেন দলের রান।
রাজশাহীর বোলারদের কচুকাটা করে রান তুলেছেন দুজন। ফিফটিও ছুঁয়ে ফেলেন। ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ে দলকে ২০০ রানের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন বোসিস্তো এবং আফিফ। ফিফটি ছুঁয়ে আফিফ থেমেছেন। ৪২ বলে ৫৬ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলে বিদায় নেন আফিফ।
শেষ দিকে বোসিস্তোর সাথে যোগ দিয়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। দারুণ ফিনিশিংয়ে ২০০ রান পার করেছে খুলনা।
শেষ দিকে বোসিস্তোর সাথে যোগ দিয়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। দারুণ ফিনিশিংয়ে ২০০ রান পার করেছে খুলনা। মারমুখি ব্যাটিংয়ে রাজশাহীর বোলারদের পিটিয়ে তুলোধুনো করেছেন অঙ্কন। নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৯ রান তুলেছে খুলনা টাইগার্স। ১২ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত ছিলেন অঙ্কন। বোসিস্তো টিকে ছিলেন ৩৭ বলে ৫৫ রান করে।
খুলনার হয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। ১ উইকেট তোলেন জিসান আলম।
জবাব দিতে নেমে জিসান আলমের ব্যাটে চড়ে উড়ন্ত সূচনা পায় দুর্বার রাজশাহী। উদ্বোধনী জুটি থেকে চলে আসে ৪৭ রান। জিসান খেলেছেন ১৫ বলে ৩০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে জিসানের উইকেট হারিয়ে ৬১ রান তুলেছে রাজশাহী।
আরেক ওপেনার মোহাম্মদ হারিস সুবিধা করতে পারেননি। ১৫ বলে ১৫ রান করে বিদায় নিয়েছেন হারিস। তিনে নেমে দলের হাল ধরেছেন অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। দারুণ ব্যাটিংয়ে এক প্রান্ত ধরে এগোচ্ছিলেন বিজয়। মাঝে ইয়াসির আলী চৌধুরী খেলেছেন ১৭ বলে ২০ রানের ইনিংস।
ছন্দে ছিলেন রায়ান বার্লও। বিজয় ছিলেন সাবলীল। দারুণ কার্যকরী ব্যাটিংয়ে ছুঁয়েছেন ফিফটি। পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে বোলারদের উপর চড়াও হয়েছেন বিজয়। ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ে রান তুলেছেন বিজয়। ইয়াসিরের বিদায়ের পর বিজয়ের সাথে যোগ দিয়েছেন রায়ান বার্ল। মারমুখি ব্যাটিংয়ে এগিয়েছেন বার্লও। কক্ষপথে ছিল রাজশাহী।
দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন বিজয়-বার্ল। শেষের আগের ওভারের শেষ বলে আউট হয়েছেন বার্ল। ১৬ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
বিজয় চলে যান সেঞ্চুরির কাছাকাছি। শেষ ওভারে রাজশাহীর জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৭ রান। বোলিংয়ে আসেন হাসান মাহমুদ। প্রথম বলে চার হাঁকিয়ে আশা জাগান বিজয়। তবে বাকি ৫ বল থেকে নিতে পেরেছেন মাত্র ৫ রান। দারুণ ডেথ বোলিং করেছেন হাসান। ৭ রানে জিতেছে খুলনা। সেঞ্চুরি পেয়েছেন বিজয়। ৫৭ বলে ১০০ রান করে অপরাজিত ছিলেন বিজয়।
খুলনার হয়ে ২ উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। ১টি করে উইকেট শিকার করেন সালমান ইরশাদ এবং আবু হায়দার রনি।