বঙ্গবন্ধু কাপ কাবাডি: নেপালকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
গ্রুপ পর্বে টানা চার ম্যাচ জিতে আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। তাই লক্ষ্য ছিল শেষ ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া। ঘরের মাঠে নেপালকে হারিয়ে সেই আশাও পূরণ হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
শুক্রবার (৩১ মে) মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে শক্তিশালী নেপালকে ৪৬-৩১ পয়েন্টের ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপসেরা হয়েই সেমিফাইনাল খেলবে সবশেষ ৩ বারের চ্যাম্পিয়নরা। গ্রুপপর্বে পাঁচ ম্যাচের সবই জিতলো বাংলাদেশ।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তিনটি লোনাসহ নেপালকে পরাজিত করে বাংলাদেশ। বিজয়ী দল প্রথমার্ধে ১৮-১৪ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল। হারলেও ম্যাচে একটি লোনা তুলে নিতে সমর্থ হয় নেপাল। প্রথম চার ম্যাচে বাংলাদেশের কাছ থেকে কোনো দল লোনা আদায় করতে পারেনি।
শুরু থেকেই দুর্দান্ত লড়াই করে বাংলাদেশ ও নেপাল। ম্যাচে একবার বাংলাদেশ পয়েন্ট তুলে নেয় তো, পরের বার নেপাল। এভাবে এগিয়ে চলে দু’দলের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ। প্রথমার্ধে চেয়ে দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো।
তবে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে নেন বাংলাদেশের তারকা রেইডার মিজানুর রহমান। নেপালের বিরুদ্ধে একাই দলকে ২০টি মূল্যবান পয়েন্ট এনে দিয়েছেন তিনি।
খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ম্যাচসেরা মিজানুর রহমানের হাতে পুরস্কারের ট্রফি ও প্রাইজমানি তুলে দেন জনতা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম আজাদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার।
ম্যাচ শেষে রেইডার মিজানুর এই বিষয়ে বলেন, নেপালের বিরুদ্ধে ম্যাচের শুরুর দিকে আমরা নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দলের সবাই দারুণ গোছানো ছিল। দলকে জেতাতে পেরে আমি খুশি। জয়ের এই ধারা সেমিফাইনালেও অব্যাহত থাকবে।
সেমিফাইনালে ‘বি’ গ্রুপের রানার্স আপের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ এবং দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দল নেপালের মুখোমুখি হবে।
তবে নিজেদের পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারলে ভালো কিছু করা সম্ভব বলে মনে করেন শান্ত। তিনি বলেন, ‘আমরা কিছু সিরিজ জিতেছি, বড় দলকেও হারিয়েছি। দলের আত্মবিশ্বাস ভালো আছে। আমরা সম্প্রতি যেমন ম্যাচ খেললাম (জিম্বাবুয়ে সিরিজ), বিশ্বকাপেও যদি তেমন খেলি, সিদ্ধান্তগুলো ঠিকমতো নিতে পারি, আমাদের পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারি তাহলে ভালো কিছু হওয়া সম্ভব।’