মানুষ নাকি তার স্বপ্নের সমান বড়। কথাটা আসলে সত্যি কারণ বড় হওয়ার, আসমান ছোঁয়ার তাড়না না থাকলে বড় হওয়া যায় না। নিজের শক্তিমত্তা আর দুর্বলতা জেনে তাই স্বপ্নকে উড়তে দেওয়াই শ্রেয়।এই যেমন বাংলাদেশ কয়েকদিন আগেও ভুগছিল একজন ভালো মানের লেগ স্পিনার সংকটে। কিছুতেই যখন কিছু হচ্ছিল না, তখনই অন্ধকার অমাবস্যার রাতে জাজ্বল্যমান প্রদীপ শিখার ন্যায় আবির্ভাব রিশাদ হোসেনের আর তাতেই যত উৎকণ্ঠা সবটার অবসান। সেই রিশাদ হোসেন জানালেন, বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হতে চান তিনি।
বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের ধারাবাহিক সাক্ষাৎকার প্রকাশ করছে বিসিবি। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য গ্রিন রেড স্টোরি’। এই সিরিজের আওতায় ২৭ মে প্রকাশিত হয়েছে রিশাদ হোসেনের সাক্ষাৎকার যেখানে এই লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার জানান নিজের স্বপ্নের কথা। তিনি বলেন, ‘আগের থেকে ভিন্ন ফল হবে আশা করি। নামের পেছনে আমি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এটা দেখতে চাই যেহেতু মূলত আমি বোলার। অলরাউন্ডার হিসেবেও নিজেকে অনেক দূর এগিয়ে দেখতে চাই।’
বাংলাদেশের জার্সিতে টি-টোয়েন্টিতে রিশাদ খেলেছেন ১৭ ম্যাচ। সেখানে ১৬ ইনিংসে বল করে উইকেট নিয়েছেন ১৫ টা। ইকোনমি ৭ এর ঘরে। ব্যাট হাতেও সামর্থ্য আছে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার। ছোট্ট ক্যারিয়ারে এরই মধ্যে নামের পাশে আছে একটা আন্তর্জাতিক অর্ধশতক। পাক্কা অলরাউন্ডার হিসেবে তাই দলের জন্য অবদান রাখতে চান রিশাদ।
ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং- তিন ডিপার্টমেন্টেই নিজের দক্ষতাকে শাণ দিচ্ছেন রিশাদ। ৬ ফিট ২ ইঞ্চি উচ্চতার এই ক্রিকেটার বলেন, ‘দলে আমি ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং- তিন দিক দিয়েই অবদান রাখতে চাই। লেগস্পিনার হিসেবে খেলা শুরু করলেও চিন্তা ছিল মাঠে দেশের জন্য তিন বিভাগেই অবদান রাখতে হবে। এজন্য আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আমি চেষ্টা করেছি ব্যাটিংয়ে উন্নতি করতে।’
ছক্কা মারতে পারেন বেশ বড় বড়। ফিনিশিংয়ে কাজে দিবে তার এই দক্ষতা। দেখেন না কে বোলার, দেখেন শুধু বলটাকে। সেই বুঝে সপাটে চালিয়ে দেন ব্যাট। উত্তরবঙ্গের এমন জায়গা থেকে উঠে এসেছেন যেখানে ক্রিকেটীয় অবকাঠামো এতটাও উন্নত না। নিজের উঠে আসার কঠিন দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করলেন রিশাদ। এগুলোও অনুপ্রেরণার বাতিঘর হয়েই হয়তো ধরা দেয়, এগিয়ে চলার পাথেয় হয়।
আর মঞ্চটা যখন বিশ্বকাপ, দেশের পতাকা যখন বুকে-পিঠে থাকে তখন তো থাকেনা কোনো পিছুটান। সামর্থ্যের সবটুকু উজাড় করে দিতে চান রিশাদ। বলেন, ‘এটা (বিশ্বকাপ) সবার জন্য সারাজীবনের স্বপ্ন। বিশ্বকাপে খেলা আমার জন্য অনেক গর্বের ব্যাপার। চেষ্টা করবো সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা দিতে।’