অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকে বিদায় নিলেন স্তেফানো সিৎসিপাস
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে টানা ৩২তম জয় ৩৬ বছর বয়সী জোকোভিচের।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে টানা দুই আসরে সেমি-ফাইনাল খেলার পর গতবার সিৎসিপাস উঠেছিলেন শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে। শেষ পর্যন্ত ট্রফিতে চুমু আঁকতে না পারলেও সামনের পথচলার জন্য পেয়েছিলেন বাড়তি অনুপ্রেরণা। কিন্তু এবার বিদায় নিলেন আগেভাগেই।
চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে রোববার প্রথম সেটে হেরে ব্যাকফুটে চলে যান সিৎসিপাস। পরের সেটে ঘুরে দাঁড়ালেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। ৭-৬ (৭-৩), ৫-৭, ৬-৩, ৬-৩ গেমে জিতে পরের ধাপে ওঠেন যুক্তরাষ্ট্রের টেইলর ফ্রিটজ।
ক্যারিয়ারে এখনও পর্যন্ত গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের স্বাদ পাননি সিৎসিপাস। গ্র্যান্ড স্ল্যামে তার সবচেয়ে বড় সাফল্য একবার করে ফরাসি ওপেন ও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে খেলা। ২০১৯ সালে এটিপি ট্যুর ফাইনালস জিতে নিজের আগমনী বার্তা বেশ জোরেশোরেই দিয়েছিলেন সিৎসিপাস। ওই বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমি-ফাইনালে উঠেছিলেন তিনি, যা ছিল কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামে তার প্রথম সেমি-ফাইনাল।
মেলবোর্নের এই টুর্নামেন্টে পরের বছর তৃতীয় রাউন্ডে হেরে গেলেও তার পরের দুই আসরেই সেমি-ফাইনাল খেলেন সিৎসিপাস। উন্নতির সেই ধারাবাহিকতায় গতবছর ওঠেন ফাইনালে, শেষ পর্যন্ত যেখানে তিনি হেরে যান নোভাক জোকোভিচের বিপক্ষে। উন্নতির ধারায় ছেদ পড়ল এবার।
তবে ২৫ বছর বয়সী তারকা ভেঙে পড়েননি, হারাননি আত্মবিশ্বাস। ম্যাচ শেষে বললেন, এখান থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে চান।
“এটা নেতিবাচক কোনো অনুভূতি নয়। বলা যায়, এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর, বদলে ফেলার একটা অনুভূতি…পরিবর্তন সবসময়ই একটা চলমান প্রক্রিয়া। একদিন আপনি শীর্ষ দশে থাকবেন, আরেকদিন থাকবেন না।”
“তাই এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কাজ করে যাওয়া এবং নিজেকে এইসব অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে উন্নত করা। গত কয়েক বছরে জীবনে যা ঘটেছে সেগুলো নিয়ে মাঝেমধ্যে ভাবতে হবে এবং সেইসব থেকে শিখতে হবে।”
এটিপি র্যাঙ্কিংয়ের সাত নম্বর খেলোয়াড় সিৎসিপাসের মতে, এরকম ব্যর্থতাকে পেছনে ফেলে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোটাই আসল, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিৎসিপাস বাধা পার হওয়ার পর র্যাঙ্কিংয়ের ১২ নম্বর খেলোয়াড় ফ্রিটজের সামনে এবার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কোয়ার্টার-ফাইনালে তিনি খেলবেন এখানে রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচের বিপক্ষে।
পুরুষ এককের সর্বোচ্চ ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী জোকোভিচ ছুটছেন টেনিস ইতিহাসের সবসময়ের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড একার করে নেওয়ার লক্ষ্যে। এখানে জিতলে কিংবদন্তি মার্গারেট কোর্টকে ছাড়িয়ে যাবেন তিনি।
সেই লক্ষ্যে সার্ব তারকা প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে শেষ আটে উঠেছেন। ফ্রান্সের আন্দ্রিয়োঁ মানারিনোকে ৬-০, ৬-০, ৬-৩ গেমে হারিয়েছেন ১০ বারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ী।
দিনের আরেক ম্যাচে নিজের সেরা ফর্মে ছিলেন না ইয়ানিক সিনার। তবে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পয়েন্ট ঠিকই তুলে নেন তিনি। সরাসরি সেটেও জয়ও।
রাশিয়ার কারেন কাচানোভকে ৬-৪, ৭-৫, ৬-৩ গেমে হারিয়ে শেষ আটে উঠেছেন র্যাঙ্কিংয়ের চার নম্বর সিনার।
অনেকের মতেই এবার শিরোপার মূল দাবিদারদের একজন সিনার। আসরে এ পর্যন্ত এখনও একটিও সেট হারেননি ২২ বছর বয়সী এই ইতালিয়ান।
দুর্দান্ত জোকোভিচের দিনে মেয়েদের বিভাগে টিকে থাকা শীর্ষ দশের তিনজন আরিনা সাবালেঙ্কা, কোকো গফ ও বারবোরা ক্রেইচিকোভা উঠে গেছেন কোয়ার্টার ফাইনালে।