পাকিস্তানের বিপক্ষে পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে রাচিন রবীন্দ্র
পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম চারটিই জিতেছে কিউইরা। এই চার টি-টোয়েন্টির সবগুলো খেলেছেন মিচেল। প্রথম ও চতুর্থ ম্যাচে করেছেন ফিফটি। সিরিজের শেষ ম্যাচটি মাঠে গড়াবে রোববার।
এরপর ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলবে নিউ জিল্যান্ড। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ সিরিজটি শুরু হবে আগামী ৪ ফ্রেব্রুয়ারি। সবকিছু ঠিক থাকলে তিন সংস্করণেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মিচেল প্রোটিয়াদের বিপক্ষে খেলবেন।
টানা খেলার মধ্যে আছেন মিচেল। গত বছরের ৩০ অগাস্ট থেকে এখন পর্যন্ত নিউ জিল্যান্ডের খেলা ৩৪ ম্যাচের মধ্যে ২৮টিতেই খেলেছেন তিনি। যে ছয়টি ম্যাচ এই অলরাউন্ডার খেলেননি, সবগুলোই বাংলাদেশের বিপক্ষে, তিন ম্যাচের হোম ও অ্যাওয়ে ওয়ানডে সিরিজ।
তার পেছনের টানা ব্যস্ততা এবং সামনের গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট সিরিজকে বিবেচনায় নিয়েই মিচেলকে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার হয়েছে, বলেছেন নিউ জিল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টেড।
“এই ম্যাচের জন্য ড্যারিল মিচেলকে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। সামনে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কিছু টেস্ট ম্যাচ আছে। ড্যারিল তিন সংস্করণের খেলোয়াড়, তাই এই সময়ে তার ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। ঘরোয়া মৌসুমের বাকি সময়ে সে বড় ভূমিকা পালন করবে। তাই আমাদের মনে হয়েছে, সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় এটাই উপযুক্ত সময় (তাকে বিশ্রাম দেওয়ার)।”
পাকিস্তান সিরিজের পুরোটা থেকে প্রথমে বাইরে রাখা হয় রাচিনকে। এই স্পিনিং অলরাউন্ডার দেশের হয়ে সবশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২৩ ডিসেম্বর, নেপিয়ারে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে। এরপর কেবল একটিই প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেছেন তিনি, গত সোমবার ওয়েলিংটনের হয়ে নর্দান ডিস্ট্রিক্টসের বিপক্ষে। রাচিনকে দলে ফেরাতে পেতে উচ্ছ্বসিত স্টেড।
“রাচিনকে দলে ফিরিয়ে আনতে পেরে ভালো লাগছে। সে বিরতিতে ছিল এবং ফিরে এসে ওয়েলিংটন ফায়ারবার্ডসের হয়ে (ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে) একটি ম্যাচ খেলেছে। আমরা তাকে যে ভূমিকায় খেলাতে চাই, সেই পজিশনে সে দলে ভালোভাবে মানিয়ে যাবে।”
এদিকে কোভিড আক্রান্ত হয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি খেলতে পারেননি বাঁহাতি ওপেনার ডেভন কনওয়ে। স্টেড বলেছেন, শেষ টি-টোয়েন্টিতে তাকে খেলানো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ম্যাচের দিন সকালে।