খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর ২০২৪

বছরের শেষটা রাঙাতে পারল না বাংলাদেশ

রোববার মাউন্ট মঙ্গানুইতে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ডিএলএস মেথডে নিউজিল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশ হেরেছে ১৭ রানে। আগে ব্যাটিং পেয়ে স্যান্টনারের বাঁহাতি স্পিনে কাবু বাংলাদেশ করতে পারে স্রেফ ১১০ রান। ওই রান টপকাতে এক পর্যায়ে ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারালেও পরে আর বিপদ বাড়েনি সফরকারীদের। ১৪.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৫ তোলার পর নামে ঝুম বৃষ্টি,  এতে আর খেলা হয়নি। ফল আসে বৃষ্টি আইনে।

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে শেষ টি-টোয়েন্টিতে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে বাংলাদেশকে ১৭ রানে হারাল নিউ জিল্যান্ড। তিন ম্যাচের সিরিজ শেষ হলো ১-১ ড্রয়ে।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিতেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচ পরিত্যক্ত হয় বৃষ্টিতে।

বে ওভালের উইকেট এ দিন ছিল কিছুটা মন্থর। উইকেট যে ভালোভাবেই পড়তে পেরেছিল বাংলাদেশ, সেটির প্রমাণ একাদশেই। পেসার তানজিম হাসানের বদলে স্পিনার তানভির ইসলামকে এনে তিন জন বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে একাদশ সাজায় তারা। কিন্তু বোলারদের জন্য তো পর্যাপ্ত রসদই দিতে পারল না ব্যাটসম্যানরা।

প্রথম ব্যাট করতে নেমে প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের চারজন দুই অঙ্ক ছুঁলেও কেউ পারেননি ২০ রানও করতে। ধুঁকতে ধুঁকতে ১১০ রানেই শেষ ইনিংস। এই রান তাড়ায়ও নিউ জিল্যান্ড ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে ৫০ করার আগেই। তবে জিমি নিশাম ও মিচেল স্যান্টনারের জুটি তাদেরকে উদ্ধার করে বিপর্যয় থেকে। বাইরে কোনো প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান ছিল না কিউইদের। আর একটি উইকেট দ্রুত নিতে পারলেই জয়ের পথে অনেকটা এগিয়ে যেত বাংলাদেশ। কিন্তু জিমি নিশাম ও মিচেল স্যান্টনারের জুটি ভাঙতে পারেনি তারা।

স্বভাবসুলভ আগ্রাসী ব্যাটিংয়েই দলকে পথে ফেরান নিশাম। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান দেখে আক্রমণে আসা অনিয়মিত স্পিনার শান্তকে টানা দুই বলে ছক্কা-চার মারেন তিনি। পরে ছক্কায় ওড়ান রিশাদকেও। তাতে দলের রান পৌঁছে যায় জয়ের ঠিকানায়।

বে ওভালে এই প্রথম জিতল পরে ব্যাট করা দল।

শেষটা ভালো না হলেও এবারের নিউ জিল্যান্ড সফর থেকে খালি হাতে ফিরছে না বাংলাদেশ। কিউইদের বিপক্ষে তাদের মাঠে প্রথমবার ওয়ানডে জয়ের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টিতেও প্রথম জয়ও ধরা দিয়েছে এবার। সঙ্গে আরও প্রাপ্তি, ভব্যিষ্যৎ সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাওয়ার রসদ।

 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ১৯.২ ওভারে ১১০ (সৌম্য ৪, রনি ১০, শান্ত ১৭, হৃদয় ১৬, আফিফ ১৪, শামীম ৯, মেহেদি ৪, রিশাদ ১০, শরিফুল ৪, তানভির ৮, মুস্তাফিজ ৩*; সাউদি ৪-০-২৫-২ , মিল্ন ৩.২-০-২৩-২, সিয়ার্স ৪-০-২৮-২, স্যান্টনার ৪-০-১৬-৪, সোধি ৪-০-১৬-০)।

নিউ জিল্যান্ড: ১৪.৪ ওভারে ৯৫/৫ (অ্যালেন ৩৮, সাইফার্ট ১, মিচেল ১, ফিলিপস ১, চ্যাপম্যান ১, নিশাম ২৮*, স্যান্টনার ১৮*; তানভির ১-০-১২-০, মেহেদি ৪-০-১৮-২, শরিফুল ৩.৪-০-১৭-২, মুস্তাফিজ ৩-০-১৩-০, রিশাদ ২-০-১৯-০, শান্ত ১-০-১৪-০)

ফল: ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে নিউ জিল্যান্ড ১৭ রানে জয়ী।

সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজ ১-১ ড্র।

ম্যান অব দা ম্যাচ: মিচেল স্যান্টনার।

ম্যান অব দা সিরিজ: শরিফুল ইসলাম।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy