সৌম্যের সেরা ইনিংসের পরেও সিরিজ হারলো বাংলাদেশ
নিউজিল্যান্ড সফরে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি ৭ উইকেটে হারল সফরকারী বাংলাদেশ। এতে সিরিজ হার বাঁচাতে পারলেন না নাজমুল হোসেন শান্তরা। একই সঙ্গে আরো দীর্ঘ হলো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কিউইদের বিপক্ষে সাদা বলের সংস্করণে জয়। নেলসনে সৌম্য সরকারের ক্যারিয়ার-সেরা ১৬৯ রানের ইনিংসের পরেও তিন শর আগেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ, থামে ২৯১ রানে। রান তাড়ায় হেনরি নিকোলসের ৯৫ ও উইল ইয়াংয়ের ৮৯ রানের সুবাদে ২২ বল হাতে রেখে অনায়াস জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি। উদ্ভোধনী ব্যাটসমেন সৌম্য একপ্রান্ত থেকে রান পেলেও অন্যপ্রান্তে নিয়মিত উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারের মধ্যে ফিরে যান এনামুল হক বিজয়, নাজমুল হোসান শান্ত ও লিটন কুমার দাস। তাদের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে চাপ সামলানোর চেষ্টা করেন সৌম্য। তবে দুর্ভাগা তাওহিদ রান আউট হন ১২ রান করে। পঞ্চম উইকেটে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৯১ রানের জুটিতে দলকে টেনে তোলেন সৌম্য। ৪৫ করে মুশফিক আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ৬১ রানের জুটির মাঝে ১১৬ বল খেলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
যদিও এই মাইলফলক ছুঁতে একাধিক জীবন পান সৌম্য। পরে মিরাজ ১৯ রান করে আউট হলেও আগ্রাসী ব্যাটে দলের রান বাড়ানোর চাহিদা মেটান তিনি। সৌম্যর ক্যারিয়ার-সেরা ১৬৯ রানের ইনিংসটি নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসমেনের সর্বোচ্চ। আগেরটি ছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের, ১২৮ করেছিলেন তিনি। সৌম্যর আজকের ইনিংসটি সাজানো ২২টি চার ও ২টি ছয়ে। তবে এই বাঁহাতির এমন ব্যাটিংয়ের পরেও ৫০ ওভার পুরোটা খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। ২৯১ রানে থামে সফরকারীদের ইনিংস।
২৯২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ইয়াং ও রাচিন রবীন্দ্রর উদ্বোধনী জুটিতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ১১ ওভার খেলে দুই ওপেনার জমা করেন ৭৬ রান। ৪৫ রান করা রাচিনকে হাসান মাহমুদ ফেরালে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১২৮ রান যোগ করেন ইয়াং-নিকোলস। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ইয়াং আজও ছুটছিলেন শতকের দিকে। তবে হাসানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে তাকে থামতে হয় ৮৯ রানে। দলের জয়ের রাস্তা প্রশস্ত করলেও ইয়াংয়ের মতো আক্ষেপে পুড়েছেন নিকোলস।
৯৫ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে আউট হন তিনি। ৯৯ বলের ইনিংসটি সাজান ৮টি চার ও ১টি ছয়ে। তবে দলকে আর কোনো বিপদে পড়তে দেননি অধিনায়ক টম ল্যাথাম ও উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেল। ল্যাথাম ৩৪ ও ব্লান্ডেল ২৪ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। ২য় ম্যাচের সাথে সিরিজ হেরে যায় বাংলাদেশ।