খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

বুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর ২০২৪

এক যুগ পর বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত

২০১৯ বিশ্বকাপে এই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেই ফাইনালের স্বপ্ন মাটিচাপা দিয়েছিলো ভারত। ৪ বছর পর ঘরের মাঠে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে দেয়নি স্বাগতিকরা, প্রতিশোধ নিয়েছে কিউইদের ৭০ রানে হারিয়ে। ১২ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ভারত। অন্যদিকে বিশ্বকাপের গত আসরে ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে ট্রফি হাতছাড়া করে নিউজিল্যান্ড। চার বছর পর আরেকটি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে হেরে আসর থেকে ছিটকে পড়লো কিউইরা।

৩৯৮ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করেছেন কিউইরা। জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ শামির নিয়ন্ত্রিত বোলিং ব্ল্যাক ক্যাপসদের দুই ওপেনারকে বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে দেয়নি। কিউই শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মোহাম্মদ শামি। ষষ্ট ওভারে প্রথম বল করতে এসেই উইকেট পেয়ে যান তিনি। কিপারে ক্যাচ দিয়ে ১৩ রান করে ডেভন কনওয়ে ফিরলে ৩০ রানেই প্রথম উইকেট হারিয়ে ফেলে নিউজিল্যান্ড। পরের ওভারে শামির দ্বিতীয় শিকার হয়ে রাচিন রবিন্দ্রও ১৩ রানে সাজঘরে ফিরলে, ৩৯ রানে দুই ওপেনারকে হারায় কিউইরা। কেন উইলিয়ামসন নিরাপদে শুরু করলেও ড্যারিল মিচেলের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে শুরু করে কিউইরা। পেসে দুর্দান্তভাবে ইনফিল্ডের উপর দিয়ে তুলে মেরে বাউন্ডারি বের করেন মিচেল। স্পিনে প্যাডল সুইপে নিয়মিত সিঙ্গেল বের করতে থাকেন দুই ব্যাটসমেন। ১৭তম ওভারে একশ পেরিয়ে গিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে নিউজিল্যান্ড। ৮৭ বলে তাদের জুটিও শতরান স্পর্শ করে। ৪৯ বলে মিচেলের ফিফটির পর উইলিয়ামসন তার ফিফটি পেয়ে যান ৫৮ বলে। ২৯তম ওভারে রোহিত শর্মা বুমরাহকে ফিরিয়ে আনলে উইকেট পাবার সুযোগ এলেও মিডঅনে শামির হাত থেকে সহজ ক্যাচ ফসকে যায়। মিচেল-উইলিয়ামসন জুটিতে ভারতীয় দলের চোখেমুখে দুশ্চিন্তার ছাপ দেখা যায়। ৫২ রানে উইলিয়ামসনকে জীবন দেওয়া শামিই পরে এসে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন। ৮ চার ও ১ ছয়ে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে উইলিয়ামসন আউট হয়ে যান স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে। টম ল্যাথামকে এক বল পরই এলবিডাব্লিউ বানিয়ে ফিরিয়ে দেন শামি। দুই ওভারের স্পেলে দুই উইকেট নিতে শামি দেন মাত্র ৪ রান। তার ডাবল উইকেটের ৩৩তম ওভারের পরই নিউজিল্যান্ডের উপর চেপে বসে ভারত। ৩২তম ওভার থেকে ৩৭তম ওভার পর্যন্ত, অর্থাৎ ছয় ওভারে মাত্র ২৩ রান দেন ভারতীয় বোলাররা।

পরের তিন ওভারে ত্রিশ রান এনে শেষ দশ ওভারে ১৩২ রানের প্রয়োজন ছিল নিউজিল্যান্ডের। সিরাজের এক ওভারে তিন বাউন্ডারি মেরে গ্লেন ফিলিপস এনে ফেলেন ২০ রান। বিধ্বংসী ফিলিপস ৩৩ বলে ৪টি চার ও ২ ছয় মেরে ৪১ রান করে আউট হন বুমরাহর বলে। আর কুলদীপের বলে মার্ক চ্যাপমান ২ রানে ধরা পড়েন বাউন্ডারিতে। তখনই নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় অনেকাংশে। ২৯৮ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মিচেলও ৩০৬ রানে চলে যান। ১১৯ বলে ৯ চার ও ৭টি ছয়ে ১৩৭ রানের ইনিংস খেলে ৪৬তম ওভারে মিচেল ফিরে যান। শেষ তিন উইকেট ২১ রানেই খুইয়ে নিউজিল্যান্ড অলআউট হয়ে যায় ৭ বল বাকি থাকতে। তিনটি স্পেলে বল করা মোহাম্মদ শামি শুরতে ২ উইকেট মাঝেও ২ উইকেট এবং শেষদিকে আরও ৩ উইকেট তুলে একাই ৭ উইকেট শিকার করে ফেলেন ৫৭ রান দিয়ে।

স্কোর

 

 

 

 

 

 

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy