এইবারের অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে কেউ ঘুণাক্ষরে ভেবেছে কিনা কে জানে; কখনো অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি না খেলা বাংলাদেশ সেরা সাফল্যের খুঁজ পাবে এই অচেনা বাইশ গজে। শেষ সময়ে তো খুলেই গিয়েছিল সেমি ফাইনালের দরজা।
এইবারের বিশ্বকাপ আসরে টাইগারদের কারো কারো পারফরম্যান্স যাচ্ছেতাই হলেও আবার কেও কেড়েছেন আলো। তাদের এই পারফরম্যান্সের বিচার হতে পারে আসন্ন আইপিএলে। দেখা যেতে পারে একাধিক ক্রিকেটারকে।
আগাসী ডিসেম্বর মাসে আইপিএলের ছোট নিলাম হওয়ার কথা। সেখানে তিন বাংলাদেশি ক্রিকেটারের দিকে নজর থাকবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির।
এদিকে, বিশ্বকাপে যাওয়ার আগেই টাইগার অধিনায়ক সাকিব বলেছিলেন, মাশরাফির পর বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ের দায়িত্ব এখন তাসকিন আহমেদের কাঁধেই। সেই দায়িত্ব বেশ ভালোভাবেই পালন করেছেন তাসকিন। সেই সাথে হাতে আছে বড় শট খেলার দক্ষতা।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আগুন ঝরা বোলিং করেছেন তাসকিন। ভারতের বিপক্ষে কোনো উইকেট না পেলেও তাসকিনের বোলিং যারা দেখেছেন তারা একবাক্যে স্বীকার করেছেন উইকেট ছাড়া টি-টোয়েন্টির অন্যতম সেরা বোলিং। দুর্দান্ত গতি আর লাইন-লেন্থের মিশেলে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে ৮ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাসকিনই।
তাসকিনের বেলায় আইপিএলের ডাকটা এসেছিল আরও আগে। তবে দেশের খেলায় না বলতে হয়েছিল তখন। তবে সেই পারফ্রম্যান্সের ধারিবাহিকতা রেখে এইবারের ডাকটা আরও জোরালো হতে পারে।
এবারের বিশ্বকাপ ভালো যায়নি সাকিবের। কিন্তু তার দক্ষতা নিয়ে কারও সন্দেহ নেই। ব্যাট হাতে রান না পেলেও বল হাতে খুব একটা খারাপ খেলেননি তিনি। গত কয়েক বছরে আইপিএলে ধারাবাহিক ভাবে খেলা সাকিব এবার দল পাননি। কিন্তু দলের ফাঁক ভরাট করার জন্য তার দিকে তাকাতে পারে দলগুলো। সাকিবের মতো অলরাউন্ডার যে কোনও দলের অন্যতম প্রধান ভরসা।
মোট ৯৫ কোটি টাকা নিয়ে আগামী নিলামে অংশ নেবে ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজি। দলগুলো অত বেশি ক্রিকেটারের দিকে নজর দিতে না পারলেও কম বাজেটে বাংলাদেশিরা ক্রিকেটাররা হতে পারেন তুরুপের তাস।