গাপটিলের ছক্কার রেকর্ডে কিউইরা হারাল অজিদের
হারতে হারতে জয় পেলো, নাকি জিততে জিততে হার? অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের ২য় টি-২০’র শিরোনাম যে কোনোটাই হতে পারে। ডানেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড পেয়েছে ৪ রানের জয়। ৫ ম্যাচ সিরিজে ২-০তে এগিয়ে গেলো কিউইরা।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা কিউইরা ২০ রানে হারায় সাইফার্টকে। এরপর ১৪ ওভার ৪ বল পর্যন্ত কিউইদের আর হারাতে হয়নি কাউকেই । তখন কেবল গাপটিলই শাসন করেছে অজি বোলারদের। কেনকে সঙ্গে নিয়ে ১৩১ রানের জুটি । ১৫১ যখন দলীয় রান, গাপটিলের তখন ৮ ছক্কা ও ৬ চারে ৯৭। যতটা আঘাত কি না তিনি অজি বোলারদের দিয়েছেন, তারচেয়ে বেশি আঘাত পেয়েছেন সেঞ্চুরি মিস করে। স্যামসকে উড়িয়ে মারতে স্টয়নিসের হাতে ক্যাচ। আউট হওয়ার আগে তিনি বনে যান টি-২০ তে সবচেয়ে বেশি ছক্কার মালিক। ৯২ ইনিংসে ১৩২ ছক্কা। মাইটি গাপটিল!
কিউই কাপ্তান বিদায় নেন ৫৩ করে । শেষ ঝড়টা আসে নিশামের ব্যাট থেকে। ৬ ছক্কা ও ১ চারে ১৬ বলে ৪৫ রান নিউইজিল্যান্ডকে দেয় বড় সংগ্রহ। ৭ উইকেটে ২১৯।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথমেই অস্ট্রেলিয়া ১৩ ওভারে নেন ১১৩। উইকেট হারান ৬ টি। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে কাল হয়ে আসে ১২ তম ওভার। সেন্টনারের সেই ওভারে ৪ বলের ব্যবধানে তুলে নেন ফিলিপ, এস্টন ও মার্শকে। ৭ ওভারে দরকার ১০৭।
মিশন ইম্পসবিল হলেও ক্রিকেট যে আনপ্রেডিক্টেবল, সেটা জেনেই ক্রিজে এসেছিলেন স্টয়নিস-স্যামস। ছক্কা বৃষ্টির দিনে দুই পাশ থেকেই দুই অল-রাউন্ডার খেলেছেন দুই বিধ্বংসী ইনিংস। সপ্তম উইকেটে করেন ৯২ রান। স্কোরবোর্ড বলছে শেষ ওভারে দরকার ১৫, বোলিংয়ে ম্যাচে নিজের ১ম ওভার করতে আসেন নিশাম। দিনটা নিশামেরই। ১ম বলেই স্যামসকে ফুল টসে ক্যাচ বানিয়ে পরের দুই বল ডট। ৪র্থ বলে স্টয়নিসের ছক্কা হাঁকানো খেলায় আনে আরেক রোমাঞ্চ। পরের বলে স্টয়নিসও ক্যাচ আউট। রোমাঞ্চের সমাপ্তি!
পারলেন না স্টয়নিস। নায়ক বনে গেলেন নিশাম। তবে প্রশ্ন থেকেই যায়—কিউইদের বাঁচালো কে? গাপটিল নাকি নিশাম? শিরোনাম কি এটাও হতে পারতো ?