ডারবান কাব্য লিখা হলো না বাংলাদেশের
ক’দিন আগেই দ.আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়ে টাইগাররা। প্রোটিয়া তারকা খেলোয়াড়রা আইপিএলে চলে গেলে টেস্টেও জয়ের গুঞ্জন উঠেছিলো বাংলাদেশের৷ মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের গর্জন ডারবানে আঁচড়ে পড়ার সম্ভাবনাও তৈরী হয়েছিলো। কিন্তু,আর হল কই! ড্র দূরের কথা ; শেষদিনে লড়াইটাও করতে পারলো না ডমিঙ্গো শিষ্যরা। ২৭৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৫৩ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস। ফলে, ম্যাচ হারে ২২০ রানের বড় ব্যবধানে।
টেস্টের চতুর্থ দিনে বাংলাদেশি বোলারদের দাপুটে বোলিং মাত্র ২০২ রানে থেমে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার পড়ে ২৭৪ রান। হাতে তখনই সাড়ে তিন সেশন।
এমন সময়ে জয়ের স্বপ্নই দেখছিলেন মুমিনুলরা। কিন্তু চতুর্থ দিন শেষ বিকেলের খেলায় ব্যাটিং নেমেই দুঃস্বপ্ন শুরু বাংলাদেশের। আলোকস্বল্পতার কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে মাত্র ৬ ওভার ব্যাট করে ১১ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ৩ উইকেট।
তাই পঞ্চম এবং শেষ দিনে ড্র করার জন্য বাংলাদেশকে সারাদিন ব্যাট করতে হতো। আর জিততে দরকার ছিল ২৬৩ রান। কিন্তু জেতা তো দূরের কথা, ড্র করতে পারেনি সফরকারীরা। শেষদিনে প্রোটিয়া স্পিন বিষে নাস্তানাবুদ টাইগাররা। এক কেশব মহারাজেই লন্ডভন্ড বাংলাদেশ। মাত্র ১৩ ওভার ব্যাট করতেই হারিয়েছে শেষ সাত উইকেট। মহারাজের সাথে সিমন হার্মার।
মুশফিকুর রহিমের বিদায়ের মাধ্যমে শেষ দিনের উইকেটের পতন শুরু। আর কেউ সাহস নিয়ে দাঁড়াতেই পারেনি প্রোটিয়াদের সামনে। সর্বোচ্চ ২৬ রান এসেছে শান্তর ব্যাট থেকে। তাসকিন ১৪। ০ রানে আউট হয়েছেন সাদমান, মুশফিক, মিরাজ, খালেদ। জয়, মুমিনুল, লিটন ও ইয়াসিরের রান যথাক্রমে ৪, ২, ২, ৫। ৬ বলে কোনো রান না করে অপরাজিত থাকেন ইবাদত হোসেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ ছয়টি উইকেট পেয়েছেন কেশভ মাহারাজ। বাকি তিনটি উইকেট নেন সিমোন হার্মার। আর দুই ইনিংসে ৭টি উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন মাহারাজ।
স্কোরবোর্ড :
ডারবান টেস্ট
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস : ৩৬৭/১০ (১২১ ওভার)
বাভুমা ৯৩, এলগার ৬৭, আরউই ৪১
খালেদ ৯২/৪, মিরাজ ৯৪/৩, এবাদত ৮৬/২
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ২৯৮/১০ (১১৫.৫ ওভার)
জয় ১৩৭, লিটন ৪১, শান্ত ৩৮, মিরাজ ২৯, ইয়াসির ২২
হার্মার ১০৩/৪, উইলিয়ামস ৫৪/৩
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস : ২০৪/১০ (৭৪ ওভার)
এলগার ৬৪, রিকেলটন ৩৯
এবাদত ৪০/৩, মিরাজ ৮৫/৩, তাসকিন ২৪/২
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৫৩/১০ (১৯ ওভার)
শান্ত ২৬, তাসকিন ১৪, জয় ৪ ; মাহারাজ ৩২/৭, হার্মার ২১/৩
ম্যাচ সেরা : মাহারাজ
ফলাফল: দ.আফ্রিকা ২২০ রানে জয়ী।