শুভকামনা জেমি সিডন্স!
জেমি সিডন্স। নামটা শুনলেই আজকের দিনের সাকিব-তামিমদের কথা নির্দ্বিধায় উঠে আসবে। তাদের এই বিশ্বসেরা হিসেবে তৈরী করে দেওয়ার নেপথ্যের কারিগর এক দশকেরও বেশি আগে বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হিসেবে আসা ইংলিশ এই সাবেক ক্রিকেটার।
টাইগারদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের বেহাল দশায় আবারও ডাক পড়েছে সিডন্সের
। বিসিবির আহ্বানে সাড়া দিয়ে কাল বাংলাদেশে পা রাখতে যাচ্ছেন তিনি।
বিশ্বকাপ সহ সাম্প্রতিক সময়ে সব ফরম্যাটে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে ক্রিকেট পাড়ায় জোরেশোরে নাম উঠে পুরনো গুরু জেমি সিডন্সের। তারপর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি দুই বছরের চুক্তিতে সিডন্সকে ‘ব্যাটিং পরামর্শক’ হিসেবে নিয়োগ দেয়।
এর আগে, সিডন্স ২০০৭ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর পদত্যাগ করার আগে সিডন্সের অধীনে বাংলাদেশ দল ১৯ টেস্টের মধ্যে ২টি জেতে, হারে ১৬টিতে।
ওয়ানডেতে ৮৪ ম্যাচে ৩১ জয়ের বিপরীতে পরাজয় ছিল ৫৩ ম্যাচে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ৮ ম্যাচে সবগুলোই হেরেছিল বাংলাদেশ।
তবে পরিসংখ্যান বিবেচনায় নয়, সিডন্সের সবচেয়ে বড় অবদান ছিল আজকের এই পঞ্চপাণ্ডব তৈরিতে ভূমিকা রাখা। তার আমলে টাইগার ব্যাটারদের উন্নতি ছিল চোখে পড়ার মতো। আশরাফুল, তামিম, মুশফিক, সাকিব ও রিয়াদদের পরিণত হওয়ার পেছনে এই অজি কোচের অবদান অনেক।
সাকিব-তামিমরা এখনো তাদের পারফর্মেন্সের কৃতিত্ব সিডন্সকে দিতে ভোলেন না। সিডন্সের কাছ থেকে এখনো ব্যাটিং পরামর্শ নেন বলে বিভিন্ন সময়ে সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেন তামিম। সম্প্রতি উৎপল শুভ্র ডটকমে দেওয়া এরকমই এক সাক্ষাৎকারে সাকিব সিডন্সকে এখনো বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যালি সেরা কোচ মানেন।
জেমি সিডন্স ২০১০ সালে বাংলাদেশের দায়িত্বে থাকাকালীন অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকা সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন , ‘ডায়নামাইটের মতো কয়েকজন ক্রিকেটার আছে আমার দলে। সাকিব অস্ট্রেলিয়া দলে ছয় নম্বরে ব্যাট করতে পারে, হতে পারে এক নম্বর স্পিনারও। আর শেন ওয়াটসনের সঙ্গে তামিম ইকবাল দিব্যি ওপেন করার সামর্থ্য রাখে।’
সময়ের পরিক্রমায় সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল দু’জনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের প্রমাণ করেছেন। এখন আবারও নতুন সাকিব-তামিম গড়ার দায়িত্ব উঠছে সিডন্সের হাতেই।
শুভকামনা জেমি সিডন্স!