বোল্ট-সাউদিতে পিষ্ট বাংলাদেশ
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে অন্যরকম এক বাংলাদেশ আবিষ্কারের পর ক্রাইস্টাচার্চে এসেই সেই চিরচেনা রূপে ফিরে গেছে টাইগাররা। বোল্ট-সাউদি গতিতে পিষ্ট হয়ে প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৬ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ফলে কিইউইদের চেয়ে ৩৯৫ রানে পিছিয়ে দিন শেষ করে মুমিনুল হকরা।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ইয়াসির রাব্বি ও সোহান ছাড়া কেউ থিতু হতে পারেননি বে ওভালের গ্রীন টপ উইকেটে। দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই স্লিপে ক্যাচ তুলে ওপেনার সাদমান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের ফেরার পথ খুলেন । এরপর ৪ রানে শান্ত এবং শূন্যরানেই সাজঘরে ফেরেন কাপ্তান মুমিনুল হক। ৮ রানে লিটন।
২৭ রানে ৫ উইকেট বিদায়ের পর ম্যাচের লাগাম ধরেন ইয়াসির আলি রাব্বী এবং নুরুল হাসান সোহান। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দুজন মিলে তুলেন ৬০ রান। ব্যক্তিগত ৪১ রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন সোহান।
একপাশ আগলে রেখে খেলতে থাকা ইয়াসির রাব্বী পূর্ণ করেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। আউট হন ৫৫ রানে। এছাড়া ২ রান করেন শরিফুল। আর শূন্যরানে অপরাজিত থাকেন এবাদত। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। এছাড়া টিম সাউদি তিনটি এবং কাইল জেমিসন দুটি উইকেট নেন।
এর আগে মাত্র ১ উইকেটে দ্বিতীয় দিন শুরু করা দুই কিউই ব্যাটার টম লাথাম এবং ডেভন কনওয়ে এবাদত হোসেনের করা দিনের প্রথম বলেই চার হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে কনওয়ে। দলীয় ৩৬৩ রানে কনওয়েকে রান আউট করে ২১৫ রানের জুটি ভাঙে মিরাজ। আউট হওয়ার আগে করেন ১০৯ রান।
কনওয়ে ফিরতেই খানিক বাদে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন অধিনায়ক টম লাথাম। ষষ্ঠ উইকেটে টম ব্লান্ডেলকে সঙ্গে নিয়ে ৭৬ রানের জুটি গড়েন লাথাম। রান ক্ষুধার্ত কিউই দলনেতা লাথাম সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশি অধিনায়ক মিনির বলে। আউট হওয়ার আগে করেন ২৫২ রান। ৩৭৩ বলে ৩৪ চার এবং ২টি ছয়ে সাজানো লাথামের ইনিংসটি।
এদিকে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করে ৫৭ রানে টম ব্লান্ডেল এবং ৩ রানে জেমিসন অপরাজিত থাকতে ৫২১ রানে ১ম ইনিংস ঘোষণা করে দেয় ব্ল্যাক ক্যাপসরা।
স্কোরবোর্ড : (২য় দিন)
টস : বাংলাদেশ
নিউজিল্যান্ড (১ম ইনিংস) : ৫২১/৬ ডি. (১২৮.৫ ওভার)
লাথাম ২৫২, কনওয়ে ১০৯, ইয়াং ৫৪ ; শরিফুল ২৮-৯-৭৯-২, ইবাদত ৩০-৩-১৪৩-২
বাংলাদেশ (১ম ইনিংস) : ১২৬/১০ (৪১.২ ওভার)
ইয়াসির ৫৫, সোহান ৪১, লিটন ৮ ; বোল্ট ১৩.২- ৩-৪৩-৫, সাউদি ১২-৪-২৮-৩
নিউজিল্যান্ড ৩৯৫ রানে এগিয়ে।