বেগম রোকেয়া পদক পাচ্ছেন ঋতুপর্ণা চাকমা
বাংলাদেশের নারী ফুটবলের ‘পোস্টার গার্ল’ খ্যাত তারকা ঋতুপর্ণা চাকমা ২০২৫ সালের ‘বেগম রোকেয়া পদক’-এর জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। ক্রীড়া ক্ষেত্রে নারী জাগরণ ও অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের তারকা নারী ফুটবলার ঋতুপর্ণা র জোড়া গোলের কারণেই বাংলাদেশ শক্তিশালী মিয়ানমারকে হারিয়ে প্রথমবারে মতো এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলবে।
শুধু এশিয়া কাপই নয়, ঋতুপর্ণার গোলেই গত বছর সাফ ফাইনালে বাংলাদেশকে নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
সামাজিক ও পারিবারিক নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ঋতুপর্ণা এখন শুধু ক্রীড়াঙ্গন নয় পুরো দেশেরই অন্যতম এক আইকনে পরিণত হয়েছেন।
ক্রীড়ায় নারী জাগরণ সৃষ্টিতে এমন অসামান্য ভূমিকার জন্য মাত্র ২১ বছর বয়সী আইকন ঋতুপর্ণা এ বছরের বেগম রোকেয়া পদকের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
নারী ক্রীড়াঙ্গনে এই তারকা নারী ফুটবলারের দৃঢ় অবস্থান, দীর্ঘদিনের পারফরম্যান্স এবং দেশীয় ফুটবলে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে।
- কল্পনা আক্তার (নারী অধিকার আন্দোলনের ক্ষেত্রে অবদান)
- ড. নাবিলা ইদ্রিস (মানবাধিকার ক্ষেত্রে অবদান)
- ড. রুভানা রাকিব (নারী শিক্ষায় অবদান)।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ১৪৫তম জন্মদিন এবং ৯৩তম মৃত্যুবার্ষিকী।
সমাজের নানা ক্ষেত্রে নারীদের স্বীকৃতি ও অবদানের জন্য প্রতি বছর তার নামে পদক প্রদান করে থাকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বিগত সময়ে রোকেয়া দিবসে ক্রীড়াবিদদের পুরস্কৃত করা হয়নি।
গত বছর কিংবদন্তী দাবাড়ু রাণী হামিদকে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। এবার ঋতুপর্ণা চাকমা এই পদক পাচ্ছেন।
এ উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ পদক প্রদান করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ২০২৫ সালে এই পদক পেয়েছিল। নারী ফুটবলারদের আগে ক্রীড়াঙ্গনের জন্য কেউ পদক পায়নি।
সাবেক খেলোয়াড় ও ধারাভাষ্যকার আব্দুল হামিদ সাংবাদিকতার জন্য একুশের পদক পেয়েছিলেন। দল হিসেবে একুশে পদক পাওয়ার ক্ষেত্রে নারী দলই প্রথম।


