“কুল-বিএসপিএ” পুরস্কার পাচ্ছেন যারা
স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রবর্তনের আগে বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি ক্রীড়াবিদদের পুরস্কৃত করে আসছেন। বর্তমানে যা “কুল-বিএসপিএ” নামেই বেশ পরিচিত।
সেই পুরস্কারের কলেবর এখন বেড়েছে। বছরের সেরা ক্রীড়াবিদ ছাড়াও, কোচ, সংগঠক , তৃণমূলের ব্যক্তিত্ব, সংস্থাকে কাজের স্বীকৃতি জানিয়ে আসছে ক্রীড়া লেখক সমিতি। গত এক দশক ক্রীড়া লেখক-সাংবাদিকদের সংগঠনের এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা করছে স্কয়ার টয়লেট্রিজের পণ্য ‘কুল’।
২০২৪ সালে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের দৌড়ে রয়েছেন সাফের ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট মনোনীত হওয়া ঋতুপর্ণা চাকমা, অলিম্পিকে সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করা আর্চার সাগর ইসলাম ও ক্রিকেটার মেহেদী মিরাজ।
পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ডের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আর্চার সাগর জায়গা পাননি। সেখানে ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা, ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছেন নাহিদ রানা। এই দুই বিভাগের বিজয়ীর নাম ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠানের দিন ঘোষণা করা হবে।
আজ বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়শেনে অন্য ক্যাটাগরির মনোনীত ব্যক্তিদের নাম ঘোষনা করেছেন মনোনয়ন কমিটির প্রধান পরাগ আরমান।
২০২৪ সালে সেরা কোচের স্বীকৃতি পেয়েছেন মওদুদুর রহমান শুভ। ওমানে তার কোচিংয়ে বাংলাদেশ প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে। ওমানের পর্বের আগে সিঙ্গাপুরে আরেকটি বাছাই পর্ব খেলেছিল বাংলাদেশ। দুই পর্বে খেলোয়াড় একই থাকলেও দুই দলে ছিলেন দুই ভিন্ন হেড কোচ।
শুভকে সেরা কোচের মনোনয়েনর বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির সভাপতি রেজওয়ান উজ জামান বলেন,
‘অবশ্যই আগের পর্বের কোচেরও অবদান রয়েছে। যার কোচিংয়ে পরের ধাপে খেলেছে বাংলাদেশ। এরপরও আমরা টুর্নামেন্টের গুরুত্ব এবং যার কোচিংয়ে মূলত বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ খেলছে সেটাকে প্রাধান্য দিয়েছি।’
ক্রিকেট আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত ২০২৪ সালে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের গর্বের প্রতীক ছিলেন। তিনি আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা করে নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। ২০২৪ সালে সেরা আম্পায়ারকে স্বীকৃতি দিচ্ছে ক্রীড়া লেখক সমিতি।
আরও যারা থাকছেন- সংগঠক হিসেবে ইমরুল হাসান, তৃণমূলের ব্যক্তিত্বে রাঙামাটির কোচ বীরসেন চাকমা, সক্রিয় সংস্থা হিসেবে যশোরের শামসুল হুদা ফুটবল একাডেমী, দল হিসেবে যুব বিশ্বকাপে নিশ্চিত করা অ-২১ হকি দল,ভারত্তোলক হামিদুল ইসলাম বিশেষ সম্মাননা, উদীয়মান ক্রীড়াবিদ ক্রিকেটার নাহিদ রানা, বর্ষসেরা দাবাড়ু মনন রেজা নীড়, অ্যাথলেট জহির রায়হান, আর্চার সাগর ইসলাম, ক্রিকেটার ও ফুটবলার যথাক্রমে মিরাজ ও ঋতুপর্ণা।
এ বছর ১৫টি বিভাগে সর্বমোট ১৩জন বর্তমান ও সাবেক ক্রীড়াবিদ, সংগঠক এবং সংস্থাকে পুরস্কৃত করা হবে।
আজ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের জিএম মার্কেটিং ড. জেসমিন জামান। ক্রীড়া লেখক সমিতির সভাপতি রেজওয়ান উজ জামান তার আপন ছোট ভাই। একই সংবাদ সম্মেলনে ভাই-বোন দুই ভূমিকায়। পারিবারিক সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন হলে জেসমিন জামান বলেন,
‘আমরা দুই জনই দুই জনের জায়গা থেকে সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বের সঙ্গে এটি করে থাকি। আমি আমার ইভেন্ট ব্যয়, কাভারেজের বিষয়টি নিয়ে সচেতন থাকি। আমরা দুই জনই এককভাবে কোনো কিছু আলোচনা করি না, সকল কিছুই টিমের মাধ্যমে হয়।’
বোনের সুরে রাজীব বলেন,
‘ক্রীড়া লেখক সমিতির সঙ্গে স্কয়ারের গ্রুপের সম্পর্ক অনেকটাই আত্নিক। আমরা তাদের সেই আস্থার প্রতিদান দিতে পেরেছি বলেই তারা আমাদের সঙ্গী হয়েছে।’
তাদের বাবা প্রয়াত ক্রীড়া সাংবাদিক বদি উজ জামানও ক্রীড়া লেখক সমিতির সভাপতি ছিলেন।
আজকের সম্মেলনে আরও ছিলেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সামন হোসেন, পুরস্কার মনোনয়ন কমিটির চেয়ারম্যান পরাগ আরমান ও সদস্য সচিব মাহবুব সরকার সহ আরও অনেকে।
পূর্নাঙ্গ মনোনয়ন তালিকা :
বর্ষসেরা ক্রিকেটার : মেহেদী হাসান মিরাজ
বর্ষসেরা ফুটবলার : ঋতু পর্ণা চাকমা
বর্ষসেরা অ্যাথলেট : জহির রায়হান
বর্ষসেরা আর্চার : সাগর ইসলাম
বর্ষসেরা দাবাড়ু : মনন রেজা নীড়
উদীয়মান ক্রীড়াবিদ : নাহিদ রানা (ক্রিকেট)
বর্ষসেরা দল : অনূর্ধ্ব-২১ জাতীয় হকি দল
সক্রিয় সংস্থা : শামস্-উল-হুদা ফুটবল একাডেমী, যশোর
বর্ষসেরা কোচ : মওদুদুর রহমান শুভ (হকি)
বিশেষ সম্মাননা : হামিদুল ইসলাম (ভারোত্তোলন)
তৃণমূল সংগঠক : বীরসেন চাকমা (রাঙামাটি)
সেরা সংগঠক : মো. ইমরুল হাসান (ফুটবল)
বর্ষসেরা আম্পায়ার : শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত