ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তানজিদ হাসান তামিমের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে উড়ে গেছে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে সোমবার (৭ এপ্রিল) তার ব্যাটে চড়েই নিজেদের পঞ্চম জয় তুলে নিয়েছে রূপগঞ্জ।
ক্রিকেটে তানজিদের এটি চতুর্থ সেঞ্চুরি। লম্বা সময় পর পেলেন এই সেঞ্চুরি। এর আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তানজিদ সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০২৩ সালে। ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে খেলেছিলেন ১০৬ রানের ইনিংস।
গত বছর ও চলতি বছর লিগে ভালো শুরু পেলেও সেটাকে পূর্ণতা দিতে ভুগছিলেন তানজিদ। দেখছিলেন নিজের দায়িত্ব নিতে না পারার ঘাটতি। সেই জায়গা নিয়ে কাজ করেই হয়ত ডানা মেলে ধরতে পারলেন তিনি।
আগের দিন অনুশীলন শেষে নিজের ব্যাটিং নিয়ে অসন্তুষ্টির কথা প্রকাশ করেছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। বলেছিলেন,
‘আমার দায়িত্বশীলতার কিছুটা অভাব রয়েছে।’
ঘাটতি টের পেয়েই স্ব-মহিমায় জ্বলে উঠলেন জাতীয় দলের এই তরুণ ওপেনার। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মাত্র ৫৯ বলে সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বোলারদের দাপটে আগে ব্যাটিং করা পারটেক্স ১২৯ রান করতে পারে। জবাবে মাত্র ১৮.৩ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে জিতে যায় রূপগঞ্জ। জুনিয়র তামিম ৫৯ বলে ১০৩ রানের ম্যাচ সেরা ইনিংসটি খেলেছেন।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে পারটেক্স ১৩০ রানের লক্ষ্য দিতে পারে। সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৯তম ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শিরোপা প্রত্যাশী রূপগঞ্জ।
সাইফ হাসান ও তানজিদ হাসান তামিম ১৩২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। তামিম ৫৯ বলে ১০ চার ও ৭ ছক্কায় সাজান ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস। সাইফ অপরাজিত থাকেন ২৬ রানে।
এর আগে রূপগঞ্জের দুই পেসার শরিফুল ইসলাম, রেজাউর রহমান রাজার পর শেখ মেহেদীর ঘূর্ণিতে ৩৪.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানে অলআউট হয় পারটেক্স।
পারটেক্সের হয়ে রুবেল মিয়া সর্বোচ্চ ৪১ রানের ইনিংস খেলেন। রূপগঞ্জের শেখ মেহেদী ৩৪ রানে শিকার করেন চারটি উইকেট।
এছাড়া শরিফুল ইসলাম ও রেজাউর রহমান রাজা প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
তানজিদের ইনিংসে বড় জয়ে ৯ ম্যাচ থেকে ১১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে উঠে এসেছে রূপগঞ্জ, সুপার লিগ নিশ্চিত করার পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে তারা।