বিপিএলে ঝড় তুলতে আসছেন অস্ট্রেলিয়ান বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান জশ ব্রাউন
নাহ, ফাইনালের ফিফটি দেখে রাতারাতি এই সিদ্ধান্ত হয়নি। ব্রাউন সাড়া ফেলেছেন আসলে ফাইনালে ওঠার ম্যাচেই। গত সোমবার টুর্নামেন্টের চ্যালেঞ্জার ম্যাচে অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৫৭ বলে ১৪০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
১০ চারের পাশে তার ইনিংসে ছক্কা ছিল ১২টি। বিগ ব্যাশে যা এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড। তার ৪১ বলের সেঞ্চুরিটি বিগ ব্যাশে দ্বিতীয় দ্রুততম শতকের নজির।
এরপর ফাইনালে বুধবার ৫ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৩৮ বলে ৫৩।
২০ ওভারে ১৬৬ রান তোলে ব্রাউনের ব্রিজবেন হিট। পরে স্পেন্সার জনসনের বোলিং তোপে (৪/২৬) সিডনি সিক্সার্স গুটিয়ে যায় ১১২ রানেই।
৩০ বছর বয়সী ব্রাউনের স্বীকৃত ক্রিকেটে পথচলা খুব বেশি দিনের নয়। কুইন্সল্যান্ডের এই ব্যাটসম্যানের বিগ ব্যাশ অভিষেক গত আসরে। সেবার ১৪ ইনিংস খেলে ফিফটি করতে পেরেছিলেন স্রেফ একটি। তারপরও দ্রুত রান তোলার সামর্থ্যের কারণে তাকে ম্যাচের পর ম্যাচ খেলিয়ে গেছে দল। সেবার তার ব্যাটিং গড় ১৮.৪২ হলেও স্ট্রাইক রেট ছিল দেড়শর কাছে।
গত বছর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অভিষেকে ৩৮ রান করেন কুইন্সল্যান্ডের হয়ে। এরপর আর ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি তিনি।
এবার বিগ ব্যাশে গত আসরের মতো অত বেশি ম্যাচ খেলতে পারেননি ব্রাউন। প্লে অফের আগে ৬ ম্যাচে দু-তিনটি কার্যকর ইনিংস খেললেও ফিফটি করতে পারেননি। তবে জ্বলে উঠলেন তিনি শেষ দুই ম্যাচে। এতেই টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪৪ রান তার। স্ট্রাইক রেট এবার দেড়শর ওপরে। এই পারফরম্যান্সে দেশের বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও ডাক পেয়ে গেলেন।
আগামী শুক্রবারই বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ব্রাউনের। সিলেটেই চট্টগ্রাম দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে তিনি টুর্নামেন্টের বাকি পুরো সময়টাতেই থাকবেন।