বিধ্বংসী কোহলির ব্যাটে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের ১৭তম ম্যাচে ভারতের ব্যাটিং তান্ডবে ৭ উইকেটে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচের আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাসের ৯৩ রানের পার্টনারশিপে ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশী সমর্থকেরা।
কিন্তু সমর্থকদের সেই স্বপ্ন বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। ৪৩ বলে ৫১ রান করে বিদায় নেওয়ার আগে তামিম হাঁকান ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা। তার সাজঘরে ফেরার সাথে সাথে ছন্দ হারিয়ে ফেলে ১১০ রানে নাজমুল হোসেন শান্ত, ১২৯ রানে মেহেদী হাসান মিরাজ ও ১৩৭ রানে লিটন বিদায় নিলে চাপে পড়ে যায় টাইগাররা।
বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ ৬৬ রান আসে লিটনের ব্যাট থেকে। মুশফিকুর রহিম ৪৬ বলে ৩৮ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে। তবে আশানুরূপ রান তুলতে ব্যর্থ হন তাওহীদ হৃদয় (৩৫ বলে ১৬)। তার ইনিংস উল্টো চাপ বাড়ায় দলের। ফিনিশারের ভূমিকায় দলকে পথ দেখায় অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট। ক্রিজে নেমে ব্যাট হাতে দ্রুত রান তুলতে থাকেন তিনি। নাসুম আহমেদ ১৮ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফিরলেও রিয়াদ শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান।
জাসপ্রিত বুমরাহর শিকার হওয়ার আগে ৩৬ বলে ৪৬ রান করেন রিয়াদ, হাঁকান তিনটি করে চার-ছক্কা। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ২৫৬ রান। ভারতের পক্ষে জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ ও রবীন্দ্র জাদেজা দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
বাংলাদেশের ২৫৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে মাঠে নেমে ভারতের দুই ওপেনার বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করে প্রথম থেকেই। অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে নিয়ে শুবমান গিল গড়েন ৮৮ রানের জুটি। ১৩তম ওভারে দলীয় ৮৮ রানে বিদায় নেওয়ার আগে ৪০ বলে ৪৮ রান করেন রোহিত।
দলীয় ১৩২ রানে আরেক ওপেনার গিলকেও বিদায় নিতে হয়। বিদায় নেওয়ার আগে ৫৫ বলে ৫৩ রান করেন তরুণ এই ক্রিকেটার। চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা শ্রেয়াস আইয়ার বিদায় নেন ১৯ রান করে।
এরপর বিরাট কোহলিকে নিয়ে হেসেখেলে জয়ের পথে পা বাড়ান লোকেশ রাহুল। শেষদিকে সাবধানে অঙ্ক কষে শতক হাঁকান কোহলি, ৯৭ বলে ১০৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে ছিলেন অপরাজিত। এছাড়া ৩৪ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন রাহুল।
স্কোর