ফাইনালের পর রাতে ঘুমাতে পারেনি মোহিত
আইপিলেরে এবারের আসরের ফাইনাল ম্যাচ ছিলো একদম জমজমাট। শেষ ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত গড়ায় খেলা। নির্ধরিত ওভার শেষে সুদর্শনের অনবদ্য ৯৬ রানের ইনিংসের ফলে হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাট ২১৪ রানা তোলে স্কোর বোর্ডে। বৃষ্টির বাধায় ১৫ ওভারে ১৭১ রানের টার্গেট পায় ধোনির চেন্নায়। শুরু থেকেই অক্রমানাত্নক খেলে চেন্নাইয়ের ব্যাটাররা।রশিদ খান,জস লিটলের মতো বোলাররা পাত্তাই পায়নি চেন্নায়ের ব্যাটারদের কাছে।
সেখানে নূর আহমেদ ও মোহিত শার্মা দারুন বোলিং দিয়ে আশা জাগায় গুজরাটের। জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১৩ রান প্রয়োজন ছিলো চেন্নাইয়ের। আর সে ১৩ রানের লক্ষ্য কঠিন করে তুলেছিলেন মোহিত শর্মা। প্রথম ৪ বলে মাত্র ৩ রান খরচ করে ম্যাচ জমিয়ে তুলেন গুজরাটের পেসার। সুতরাং, জয়ের জন্য শেষ ২ বলে ১০ রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের। মোহিতের পঞ্চম বলে ছক্কা ও শেষ বলে চার মেরে জাদেজা ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে যান গুজরাটের হাত থেকে।
ম্যাচ শেষে হতাশায় ভেঙে পড়েন মোহিত। হতে পারতেন ম্যাচ জয়ের নায়ক। কিন্তু অবিশ্বাস্য রোমাঞ্চে জয় কেড়ে নেয় রবীন্দ্র জাদেজা। যদিও হার্দিকের পাশাপাশি প্রতিপক্ষ দলের ধোনিও সান্ত্বনা দেন মোহিতকে।
গতকাল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে মোহিত জানান, ফাইনালের পরে তিনি সারারাত ঘুমোতে পারেননি তিনি। শেষ বলটি নিয়ে সারাক্ষণ ভাবছেন, কিভাবে বলটি করলে ওই বাউন্ডারি হজম করতে হতো না।
মোহিত বলেন, ‘আমি ঘুমোতে পারিনি। ভাবছিলাম যে, আলাদা কী করলে ম্যাচটা জিততে পারতাম। যদি এই বলটা করতাম বা ওই বলটা করতাম, তাহলে কী হতো, এই সব ভাবনা মাথায় ভিড় করে আসছিল। মোটেও ভালো লাগছে না। কোথাও কিছু একটা খালি মনে হচ্ছে। তবে ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি ইয়র্কার করার চেষ্টা করেছিলাম। আমি লক্ষ্যে স্থির থাকতে চেয়েছিলাম। নিজের প্রতি আস্থা ছিল আমার। আমি সারা আইপিএল জুড়ে নিজের ক্ষমতার প্রতি আস্থা রেখেছি। তবে ওই বলটা সেখানে পড়ে, যেখানে পড়া উচিত ছিল না। জাদেজা ব্যাটে পেয়ে যায়। আমি নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছি।’