হাইভোল্টেজ ম্যাচে ড্রতেই সন্তুষ্ট থাকতে হল সিটি-রিয়ালকে
এক দল রেকর্ড ১৪বারের চ্যাম্পিয়ন। আর অন্য দল এখনও একটি শিরোপার অপেক্ষায়। তবে শক্তি-সামর্থ্যে বর্তমানে কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এমনই এক ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটি। রিয়াল ঘরের মাঠে খেলেছিল বলে তাদের প্রতি আশা একটু বেশিই ছিল। অন্যদিকে সামর্থ্য বিচার করলে ম্যানসিটি কিছুটা এগিয়ে ছিল। এমনই ম্যাচে সিটির বিপক্ষে এগিয়ে গিয়েও জয় পেল না কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে গ্যালাকটিকোদের ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।
মঙ্গলবার রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ভিনিসিউস জুনিয়রের অসাধারণ গোলে প্রথমে লিড নেয় রিয়াল। তবে পাল্টা আক্রমণে কেভিন ডে ব্রুইনের দুর্দান্ত গোলে স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিটি।
গত কয়েক ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা সিটি এদিনও আক্রমণাত্মক শুরু করে। যদিও প্রথম উল্লেখযোগ্য আক্রমণটা করে স্বাগতিকরাই। তৃতীয় মিনিটে নিজেদের সীমানায় বেনজেমার দারুণ ব্যাকহিল পাস ধরে সাইডলাইন ধরে আক্রমণে ওঠেন ভিনিসিউস। সমান গতিতে এগিয়ে যান বেনজেমা; তবে প্রতিপক্ষের বক্সের বাইরে গিয়ে সতীর্থের পাস নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি তিনি।
সিটি ম্যাচের অষ্টম মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট নেয় সিটি। কিন্তু ডি-বক্সের বাইরে থেকে ডে ব্রুইনের জোরাল শট ঠেকিয়ে দেন থিবো কোর্তোয়া। ছয় মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে রদ্রির নিচু শটও ঝাঁপিয়ে ফেরান রিয়াল গোলরক্ষক।
আর্লিং হলান্ড পরপর দুই মিনিটে ভালো দুটি সুযোগ পান। কিন্তু প্রথমবার গোলরক্ষক বরাবর শট নেওয়ার পর হেডও করেন ওই একইরকম।
ধারার বিপরীতে ৩৬তম অসাধারণ এক গোলে দলকে এগিয়ে নেন ভিনিসিউস। বাঁ থেকে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার পাস ধরে একটু আড়াআড়ি ছুটে প্রায় ২২ গজ দূর থেকে বুলেট গতির শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। গোলের উদ্দেশ্যে এটাই ছিল তাদের প্রথম ও প্রথমার্ধে একমাত্র শট।
বিরতির পর ষষ্ঠ মিনিটে সমতায় ফেরার ভালো সুযোগ পায় সিটি। তবে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে ওয়ান-অন-ওয়ানে কেভিন ডে ব্রুইনের কোনাকুনি শট ঠেকিয়ে দেন কোর্তোয়া। তিন মিনিট পর বক্সে ঢুকে হলান্ডের নেওয়া শট দারুণভাবে রুখে দেন ডিফেন্ডার ডাভিড আলাবা। পরের ১৫ মিনিটে প্রায় একচেটিয়া আধিপত্য করে রিয়াল। তবে চাপ সামলে ৬৭তম মিনিটে একক নৈপুণ্যে গোলে সমতা টানেন ডে ব্রুইনে। দূর থেকে নিচু জোরাল শটে বল জালে পাঠান বেলজিয়ান মিডফিল্ডার।
রিয়াল নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে আবারও দূর থেকে চেষ্টা চালায়। অহেলিয়া চুয়ামেনির জোরাল শট দারুণ ক্ষিপ্রতায় রুখে কোনো বিপদ হতে দেননি ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এদেরসন।
এই দুদল গত মৌসুমেও সেমিফাইনালে লড়েছিল। তবে দুই লেগের সেমিফাইনালে অধিকাংশ সময় দাপট দেখিয়েও বার্নাব্যুতে শেষ কয়েক মিনিটের ছন্দপতনে ছিটকে গিয়েছিল সিটি। কিন্তু এবার ফিরতি লেগ তাদের মাঠে, আগামী বুধবার চেনা আঙিনা ইতিহাদ স্টেডিয়ামে মধুর প্রতিশোধ নিতে মাঠে নামবে তারা।