আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করে সাজঘরে ফেরা নাবিল যা বললেন
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে রবিবার মিরপুরে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব মুখোমুখি হয়েছিল শেখ জামাল ধানমণ্ডির। ওই ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক শেখ জামালের কাছে ১৩ রানে হেরেছে। তবে জয়টা প্রাইম ব্যাংকেরও হতে পারতো! যদি প্রাইম ব্যাংকের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৫ রানের ইনিংস খেলা প্রান্তিক নওরোজ নাবিল আম্পায়ারের আউটের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতেন।
ঘটানাটা ম্যাচের ৩০তম ওভারে। সাইফ হাসানের করা বল বেরিয়ে যাচ্ছিল অফ সাইড দিয়ে। নাবিল সেটি খোঁচা মারলেন। বোলার সাইফ, উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানসহ শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের ক্রিকেটাররা আউটের জোরালো আবেদনও করেন। কিন্তু তাতে সাড়া দেননি আম্পায়ার। এদিকে, ব্যাটার নাবিল আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তের দিকে না তাকিয়ে সোজা হাঁটা দেন ড্রেসিংরুমের দিকে। নাহলে পরিস্থিতি ভিন্ন কিছুও হতে পারতো। সেটি না হওয়ায় হাফসেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরির দিকে ছুটে চলা ব্যাটারের এমন স্পোর্টসম্যানশিপে প্রতিপক্ষের ফিল্ডাররা তাকে অভিবাদন জানিয়েছেন।
অবশ্য বিশ্ব মঞ্চে শচীন টেন্ডুলকার, অ্যাডাম গিলক্রিস্টের মতো কিংবদন্তিদেরও এমন দৃষ্টান্ত আছে। রবিবার মিরপুরে একই নজির তৈরি করলেন নাবিল। আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় চাইলে তিনি ক্রিজে থাকতে পারতেন, দলকে জেতানোর চেষ্টাটুকুও করতে পারতেন। কিন্তু সেটি করেননি। ঠিক কী চিন্তা থেকে ড্রেসিংরুমের পথে পা বাঁড়ালেন তিনি? নাবিল এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, ‘এটা হলো খেলোয়াড়দের দৃষ্টিভঙ্গি, তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। কারও কাছে মনে হয় যে পুরো ক্যারিয়ারে অনেক ভুল আউট দেওয়া হয়, এক্ষেত্রে কেউ যদি সুযোগ পায়, সেটার সদ্ব্যবহার করে অনেকে। আমার কাছে জিনিসটা এমন নয়, একটা প্লেয়ারের ইথিক্যাল ভিউ (নৈতিক দর্শন)।’
নাবিল আরও বলেছেন, ‘কেউ সঠিক না কেউ ভুল না। একটা নিশ্চিত আউট যদি নট আউট হয়, একজন ব্যাটসম্যান যদি খেলে যায় তাহলে সেটা তার সমস্যা না। কারণ, ওইটা আম্পায়ারের কর্তব্য। আম্পায়ার যদি ভুল করে সেটা ব্যাটসম্যানদের দায়ভার না। আবার অন্যদিক থেকে অনেক ব্যাটসম্যানই এটা করে, মনে করে যে সে সঠিক কাজটাই করছে। এটা ভুল-ঠিকের ব্যাপার না। এটা ব্যক্তিগত চিন্তধারা।’