ব্যাটিং বিপর্যয় বাংলাদেশের, ইনিংস হারের শঙ্কা
অ্যান্টিগা থেকে সেন্ট লুসিয়া। ছিটেফোঁটাও বদলায়নি বাংলাদেশ দলের ব্যাটারদের চিত্র। ক্রিজে স্থির হতে না পারা ব্যাটারদের ব্যার্থতায় আবারও হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ দল। ইতিমধ্যেই হারিয়েছে ছয়টি উইকেট। তাতেই ইনিংস হারের শঙ্কায় পড়েছে টাইগাররা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যারিবীয়দের থেকে এখনও ৪২ রানে পিছিয়ে অর্থাৎ ১৩২ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। দিন শেষে ১৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। রানের খাতা না খুলে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
ক্যারিবীয়দের লিড অল্পতেই আটকে দিয়ে নিজেদের শুরুটা খুব একটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। কেমার রোচের দুর্দান্ত বোলিংয়ে নয় ওভারের মাথায় তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। প্রথম তিনটি উইকেটই নেন রোচ। ৪ রানে তামিম, ১৩ জয় ও ৪ রানে বিজয় আউট হয়েছেন। লিটনের ব্যাট থেকে এসেছে ১৯ রান
পঞ্চম উইকেটে অভয় দিচ্ছিলেন সাকিব ও শান্তর জুটি। ফিফটির পথেই এগোচ্ছিলেন শান্ত। কিন্তু আলযারি জোসেফের করা বলে ব্যক্তিগত ৪২ রানে কটবিহাইন্ড হন তিনি।
এর আগে ৩৪০ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ আজ আবারও ব্যাট করতে নামে। তবে ব্যাট হাতে দিনের শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের।দিনের প্রথম সেশনের শেষদিকে বৃষ্টি বাগড়ায় বন্ধ ছিল খেলা।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই সেঞ্চুরিয়ান কাইল মেয়ার্সকে সাজঘরে পাঠান খালেদ আহমেদ। আউট হওয়ার আগে ১৪৬ রান করেন মেয়ার্স। ২০৮ বলে ১৮টি চার ও দুটি ছয়ে করেন এই রান। কিন্তু আর কেউ ইনিংস টেনে নিয়ে যেতে পারেননি।
বাংলাদেশের পক্ষে ১০৬ রানের খরচায় সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট নেন ডানহাতি পেসার খালেদ আহমেদ। এছাড়া মেহেদি হাসান মিরাজ তিনটি ও শরিফুল ইসলাম দুটি উইকেট নেন
সংক্ষিপ্ত স্কোর ( তৃতীয় দিন শেষে)-
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস): ২৩৪/৯ (৬৪.২ ওভার)
তামিম ৪৬,শান্ত ২৬, বিজয় ২৩, লিটন ৫৩,শরিফুল ২৬; জোসেফ ৩/৫০, সিলস ৩/৫৩)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ (প্রথম ইনিংস): ৪০৮/১০ (১২৬.৩ ওভার)
ক্যাম্পবেল ৪৫, ব্র্যাথওয়েট ৫১, মেয়ার্স ১৪৬; খালেদ ৫/১০৬, মিরাজ ৩/৯১,
বাংলাদেশ ( দ্বিতীয় ইনিংস): ১৩২/৬ (৩৬ ওভার)
জয় ১৩, লিটন ১৯, শান্ত ৪২, সাকিব ১৬, সোহান ১৬*; রোচ ৩/৩২, জোসেফ ২/৩১