ব্রাজিলকে সবাই ঈর্ষা করে: তিতে
সবশেষ ২০০২ এ বিশ্বকাপ জয়ের পর গেল ২০ বছরে বিশ্বকাপের চার আসরে কোন বারই ট্রফির মুখ দেখেনি পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। গেল চার আসরে বিশ্বকাপে সেলেসাওদের সর্বোচ্চ অর্জন ২০১৪ এর সেমিফাইনাল পযর্ন্ত। তাও সেইবার ঘরের মাঠে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে বিদায় নিয়ে ছিল তারা।
গেল আসর গুলোতে ঠিকভাবে নিজেদের জাত না চেনাতে পারলেও, প্রতি আসরেই ফেভারিট দলগুলোর একটি হয়ে মাঠে টুর্নামেন্ট শুরু করে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। আর মাত্র মাস কয়েক পর কাতার অনুষ্ঠিত হবে ২০২২ বিশ্বকাপ আসর। প্রতিবারের মত এ আসরেও অন্যতম ফেভারিট দল হিসেবেই বিশ্বকাপে মাঠে নামবে বিশ্বের এক নম্বর দল ব্রাজিল।
আর এই আসন্ন বিশ্বকাপ নিয়ে নিজেদের দল নিয়ে খুবই আশাবাদী সেলেসাও কোচ তিতে। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎকারে আগামী বিশ্বকাপে নিজেদের পরিকল্পনা সম্পর্কে তিতে জানায়, ‘আমি আশাবাদী। আমরা বিশ্বকাপে পৌঁছে গেছি, এখনই সময় ফাইনালে ওঠার, শিরোপা জেতার। এটাই মূল কথা। গতবার ভিন্ন পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপে সময় দলের দায়িত্ব পেয়েছিলাম। এবার চার বছর ধরে দল নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। প্রত্যাশা অনেক বেশি, তবে আমাদের চোখ নিজেদের কাজের দিকে।‘
বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাসে এপর্যন্ত সবচেয়ে সফল দল ব্রাজিল। একমাত্র দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের সবগুলো আসরে সুযোগ পাওয়া সেলেসাওরা বিশ্বসেরাও হয়েছে সর্বোচ্চসংখ্যক পাঁচবার। শুধু পরিসংখ্যান নয়, লাতিন দেশটি বিখ্যাত ফুটবল ঐতিহ্যের কারণেও।
সাক্ষাৎকারে তিতেকে প্রশ্ন করা হয় ব্রাজিল কি সবচেয়ে ঈর্ষান্বিত দল? জবাবে তিতে বলেন, ‘বেশিরভাগ মানুষ ব্রাজিলকে হিংসা করে। কিন্তু তারা এটা কখনো স্বীকার করে না। বিশ্বের আর কোনো দলকে নিয়ে সমর্থকরা এতো ঈর্ষান্বিত বোধ করে না। সম্মানের অভাব ও আমাদের ঐতিহ্যের প্রতি হিংসার কারণে এমনটা হচ্ছে। আমরা পেলে, জাগালো, তোস্তাও, গারিঞ্চার উত্তরাধিকারী, আমরা নিজেদের অনন্য এক মানদণ্ড তৈরি করেছি। এ কারণেই ওরা আমাদের হিংসা করে।’