দুইয়ে ফিরল বার্সেলোনা, এভারটনের কাছে ধরাশায়ী চেলসি
ঘরের মাঠে টানা তিন হারের পর ঘুরে দাঁড়াল বার্সেলোনা। মায়ার্কোকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে উঠে এলো জাভি হার্নান্দেজের দল। অন্যদিকে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে বিদায় নেয়ার পর খরা কাটছেই না চেলসির। এবার এভার্টনের মাঠে খেলতে গিয়ে ১-০ গোলে হেরে এলো ব্লুজরা।
ক্যাম্প ন্যুয়ে রোববার রাতে লা লিগার ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। মেমফিস দিপাই স্বাগতিকদের এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান বুসকেটস। শেষ দিকে একটি গোল শোধ করে মায়ার্কো।
২৫ তম মিনিটেই এগিয়ে যায় বার্সা। আলবার লম্বা করে বাড়ানো বল ডি-বক্সের সামনে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন মেমফিস দিপাই।
দ্বিতীয়ার্ধের নবম মিনিটেই দ্বিগুণ করে কাতালানরা। তরেসের করা শট প্রতিহত করলে ফিরতি বল বাঁ পায়ের শটে দূরের পোস্ট দিয়ে গোলটি করেন বুসকেটস।
৭৯তম মিনিটে ব্যবধান কমায় সফরকারীরা। সালভা সেভিয়ার দারুণ ফ্রি-কিকে ডি বক্সে ভলিতে গোলটি করেন রাইয়ো।
আগের দিন এস্পানিওলকে হারিয়ে চার ম্যাচ বাকি থাকতে লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধার করে রিয়াল মাদ্রিদ। শীর্ষ চারে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফেরার লড়াইয়ে নিজেদের অবস্থান কিছুটা শক্ত করল বার্সেলোনা। ৩৪ ম্যাচে ১৯ জয় ও ৯ ড্রয়ে কাতালান দলটির পয়েন্ট হলো ৬৬। ৩৪ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে ১৬ নম্বরে আছে মায়োর্কা।
রাতের অন্য ম্যাচে গোডিসন পার্কে এভার্টনের হয়ে একমাত্র জয়সূচক গোলটি এসেছে ব্রাজিলিয়ান তারকা রিচার্লিসনের পা থেকে। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পরপরই, ৪৬তম মিনিটে গোল করে দলকে জয় এনে দেন ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ড।
তবে রিচার্লিসন গোল করে জয় এনে দিলেও এভার্টনের এই জয়ে সবচেয়ে বড় নায়ক ছিলেন তাদের গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। গোলপোস্টের সামনে যেন অবিচল এক পাহাড়ের মতই দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। চেলসির আক্রমণভাগের মুহূর্মুহু আক্রমণ ঠেকিয়েছিলেন তিনি। অনেকগুলো নিশ্চিত গোল থেকে দলকে বাঁচিয়েছিলেন তিনি।
এই পরাজয়ের পরও অবশ্য পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থান থেকে সরানো যায়নি চেলসিকে। ৩৪ ম্যাচ শেষে চেলসির পয়েন্ট ৬৬। ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের দল এভার্টনের ৩৩ ম্যাচে পয়েন্ট ৩২।