ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) আবাহনীকে হারিয়ে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতলো শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। সুপার লিগের চতুর্থ রাউন্ডের এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে চলতি মৌসুমের শিরোপা নিশ্চিত করে ইমরুল কায়েসের দল।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে আবাহনীর বিপক্ষে খেলতে নামে শেখ জামাল। আগে ব্যাট করে শেখ জামালকে ২৩০ রানের লক্ষ্য দেয় আবাহনী। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৭৮ রানেই প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটারকে হারায় শেখ জামাল।
ঠিক তখনই দলের ত্রাতা হয়ে আসলেন নুরুল হাসান সোহান। সঙ্গী হিসেবে পেলেন কাশ্মীরি ক্রিকেটার পারভেজ রসুল ও জিয়াউর রহমানকে। শেষ পর্যন্ত ৮১ বলে ৮১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান। ইনিংসটি সাজান ৮ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায়। এ ছাড়া জিয়াউর রহমান ২৬ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। পারভেজ রসুলের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান।
এছাড়া টপ অর্ডারের ব্যাটারদের থেকে ওপেনার সৈকত আলী ১৭ ও সাইফ হাসান ১৫ রান করে আউট হন। অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে আসে ১৫ ও মুশফিকুর রহিম করেন ১৬ রান।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং নেয়া আবাহনী ৩৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। মোহাম্মদ নাঈম শেখ ১৬ রান করে ফেরেন পারভেজ রসুলের শিকার হয়ে। লিটন দাস ৪ আর নাজমুল হোসেন শান্ত ৮ রান করে আউট হন। এরপর প্রতিরোধ গড়েন তৌহিদ হৃদয় আর আফিফ হোসেন ধ্রুব।
তবে ৩৯তম ওভারের শেষ বলে মিড অনে শেখ জামাল অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের দুর্দান্ত ক্যাচের শিকার হন হৃদয়। ৭৫ বলে ৪ চারে ৫৩ রান করেন তিনি। তারপর সাইফ হাসানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন আফিফ। ১৫৪ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আবাহনীকে রক্ষা করেন সাইফউদ্দিন আর জাকের আলী অনিক। দুজনে ৭৫ রানের জুটি গড়ে মাঠ ছাড়েন অপরাজিত থেকে। তাতে ২২৯ রানের লড়াইয়ে থাকার স্কোর পায় আবাহনী। শেখ জামালের হয়ে ২ উইকেট নেন জিয়াউর রহমান।
১৪ ম্যাচে সর্বোচ্চ ২৪ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শেখ জামাল। চার পয়েন্ট পেছনে থেকে দ্বিতীয় স্থানে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ (২০)। শেষ ম্যাচ জামালের সঙ্গে রূপগঞ্জ জিতলেও তাদের পয়েন্ট হবে ২২। তাই এক ম্যাচ হাতে রেখেই চ্যাম্পিয়ন হলো ধানমন্ডির ক্লাবটি।