হোয়াইটওয়াশ এড়ানো গেলোনা
শেষ বলের রোমাঞ্চে নিজ মাঠে পাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সিরিজের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের সাথে ৫ উইকেটে হারে টাইগাররা।
ম্যাচের শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ৮ রানে। এ অবস্থায় বিকল্প বোলার না থাকায় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ নিজেই করতে আসে ম্যাচের শেষ ওভার। প্রথম বল ডট দেওয়ার পর দ্বিতীয় বলে সরফরাজ আহমেদ ও পরে হায়দার আলী, ইফতেখার আহমেদকে ফিরিয়ে মরা ম্যাচে প্রাণ ফেরান মাহমুদউল্লাহ। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ বলে ৪ খেয়ে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ দল।
সকালে মিরপুরে হারের বৃত্ত ভেঙে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। অন্যসব দিনের মত বরাবরই ব্যর্থ টাইগারদের উদ্বোধনী জুটি। দলীয় ৭ ও ব্যক্তিগত ৫ রানেই দাহানির বলে বোল্ড হয়ে সাজ ঘরে ফিরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর একাদশে ফেরা শামীম হোসেন এদিন ৩ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন। লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও থামেন ২৩ বলে ২২ রান করে।
শামীম হোসেনের মতো আফিফ হোসেনও পারলেন না ইনিংস বড় করতে। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের সম্ভাবনা ইনিংস থামল উসমান কাদিরের বলে ক্যাচ দিয়ে। এরপর নাঈমের ধীরগতির ব্যাটিং ও শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ১৪ বলে ১৩ রানে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রানে থামে টাইগাররা।
অন্যদিকে পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন উসমান কাদির এবং মোহাম্মদ ওয়াসিম।
জবাবে ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে পাকিস্তান দল। সিরিজের বাকি ম্যাচের আজও নিজেকে ঠিক ভাবে মেলে ধরতে না পারলেও বাবর আজম। মোহাম্মদ রিজওয়ান ও হায়দার আলীর সাবলীল ব্যাটিংয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছাতে থাকে পাকিস্তানরা। ৪৩ বলে ৪০ রান করে রিজওনাল ও ৩৮ বলে ৪৫ করে হায়দার সাজ ঘরে ফিরলে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় পেণ্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচ তখন বাংলাদেশের দিকে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি বাংলাদেশ দলের। ইনিংসে শেষ পযর্ন্ত গড়িয়ে ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান দল।
স্কোর:
বাংলাদেশ ১২৪/৭, ২০ ওভার (শান্ত ৪৭, শামীম ২২, আফিফ ২০, ওয়াসিম জুনিয়র ২/১৫, কাদির ২/৩৫, দাহানি ১/২৪,)
পাকিস্তান ১২৭/৫, ২০ ওভার (হায়দার ৪৫, রিজওয়ান ৪০, বাবর ১৯, মাহমুদউল্লাহ ৩/১০, আমিনুল ১/২৬, শহিদুল ১/৩৩)