বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে বাংলাদেশের হাতে বাকি ২৪ ম্যাচ
বছর কয়েক আগেও বাকি দুই ফরম্যাটের তুলনায় ৫০ ওভারের ক্রিকেটে জয়ের হার বেশি ছিল টাইগারদের। বিশ্বের যেকোনো দলের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করতো বাংলাদেশ।
তবে এখন সেই ওয়ানডেতেই জিততে ভুলে গেছে বাংলাদেশ। টানা হারে আগামী বিশ্বকাপে সরাসরি খেলা নিয়েও দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
বাংলাদেশের সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা নিয়ে অনেক গণমাধ্যমই গুঞ্জন ছড়িয়েছে যে, চলমান আফগানিস্তান ও আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে হারলেই বাংলাদেশের কোয়ালিফাউ খেলতে হবে! তবে এসব খবর ভিত্তিহীন বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বিসিবি এক বিবৃতিতে বলেছে,
‘কিছু প্রতিবেদন দলের ম্যাচসংখ্যা ও র্যাংকিংয়ের সুযোগ নিয়ে ভুল বা বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করেছে। বাস্তবে, বর্তমান আইসিসি ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুযায়ী, বাংলাদেশ আগামী ১৪ অক্টোবর ২০২৫ থেকে নভেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত সময়কালে মোট ২৪টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে, দেশে ও বাইরে।’
তারা আরও লিখেছে,
‘এই সময়কালটি বিশ্বকাপে সরাসরি যোগ্যতা অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে আয়োজক সাউথ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে বাদে শীর্ষ আট দল আইসিসি ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিশ্বকাপে জায়গা পাবে।’
২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের সেরা আট দল। পাশাপাশি স্বাগতিক তিন দল দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়াও সরাসরি খেলবে। দক্ষিণ আফ্রিকা র্যাংকিংয়ে সেরা আটের মধ্যে থাকলে সরাসরি সুযোগ পাবে সেরা ৯ দল। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অন্তত সেরা ৯ এর মধ্যে থাকতে হবে।
বিসিবির জানিয়েছে, ২০২৭ বিশ্বকাপের জন্য র্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে সেরা আট দল বাছাই করা হবে ২০২৬ সালের নভেম্বরে। তার আগে বাংলাদেশ অন্তত ২৪টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে। এসব ম্যাচের ফলাফল প্রভাব ফেলবে টাইগারদের র্যাংকিংয়ে। আর র্যাংকিংয়ের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে বিশ্বকাপের দল।
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের ওয়ানডে ম্যাচ-
- আফগানিস্তান – ১ ওয়ানডে (অ্যাওয়ে, চলমান সিরিজ)
- ওয়েস্ট ইন্ডিজ – ৩ ওয়ানডে (হোম)
- পাকিস্তান – ৩ ওয়ানডে (হোম)
- নিউজিল্যান্ড – ৩ ওয়ানডে (হোম)
- অস্ট্রেলিয়া – ৩ ওয়ানডে (হোম)
- জিম্বাবুয়ে – ৫ ওয়ানডে (অ্যাওয়ে)
- আয়ারল্যান্ড – ৩ ওয়ানডে (অ্যাওয়ে)
- ভারত – ৩ ওয়ানডে (হোম)

