খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

মঙ্গলবার, ১৬ই ডিসেম্বর ২০২৫

দলে না রাখায় ভারতীয় কোচ কে হত্যাচেষ্টা!

দলে না রাখায় কোচের ওপর হামলার ন্যাকারজনক এক ঘটনার স্বাক্ষী হলো ভারতীয় ক্রিকেট। স্থানীয় ক্রিকেটারদের আক্রমণে কোচের মাথায় গুরুতর আঘাত এবং কাঁধের হাড়ে চিড় ধরার কথা জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
ভুক্তভোগী কোচ এস. ভেঙ্কটারামন ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব পন্ডিচেরির (সিএপি) অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের খুঁজছে পুলিশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভারতের ঘরোয়া প্রতিযোগিতা সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে স্কোয়াডে না রাখায় পন্ডিচেরির তিন স্থানীয় ক্রিকেটার সোমবার এই হামলা চালায় বলে জানা গেছে।

এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সেদারাপেট পুলিশ স্টেশনের সাব-ইন্সপেক্টর এস রাজেশ। তিনি জানান,

‘ভেঙ্কটারামনের কপালে ২০টি সেলাই লেগেছে, বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল। অভিযুক্ত ক্রিকেটাররা পলাতক, তাদের খোঁজ চলছে।’

এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, পন্ডিচেরিতে জন্ম নেওয়া ক্রিকেটারদের ঘরোয়া টুর্নামেন্টের দলে না রাখা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।

তবে ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিএপি কর্মকর্তারা।
অভিযোগ উঠেছে– ভুয়া শিক্ষা সনদ ও আধার কার্ড বানিয়ে স্থানীয় পরিচয়ে বহিরাগতরা (ভিন্ন এলাকার বাসিন্দা) পন্ডিচেরির ক্রিকেটার পরিচয়ে দলে জায়গা পাচ্ছেন।
২০২১ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত রঞ্জি ট্রফিতে পন্ডিচেরির প্রতিনিধিত্ব করেছেন কেবল ৫ জন স্থানীয় ক্রিকেটার।

ওই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় বিসিসিআইয়ের সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া বলেছেন,

‘এই সংবাদে কিছু গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করেছে এবং এসব বিষয়ে বিসিসিআই শিগগিরই খতিয়ে দেখবে।’

দলে না রাখায় ভারতীয় কোচ কে হত্যাচেষ্টা!

এদিকে, কোচের ওপর হামলার ঘটনায় সিএপি সচিব তিন স্থানীয় ক্রিকেটারের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তারা হচ্ছেন– বিভিন্ন ফরম্যাটে ৬টি ম্যাচ খেলা কার্তিকেয়া জয়সুন্দর, পন্ডিচেরির হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে খেলা এ আরাভিন্দারাজ ও এস সন্তোষ কুমার।
এই হামলায় ইন্ধন থাকার দায়ে ভারতিদাসান পন্ডিচেরি ক্রিকেটার্স ফোরামের সচিব জি চন্দ্রনের নামেও অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী কোচ ভেঙ্কটারামন দাবি করেছেন,

‘গত ৮ ডিসেম্বর সকাল ১১টার দিকে সিএপি কমপ্লেক্সের ভেতরে পন্ডিচেরির সিনিয়র ক্রিকেটার কার্তিকেয়া, আরাভিন্দারাজ ও সন্তোষ এসে আমাকে হেনস্থা শুরু করে। তাদের দাবি– আমার কারণে সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফির স্কোয়াডে জায়গা হয়নি তিনজনের। একপর্যায়ে আরাভিন্দারাজ আমাকে আটকে ধরে, এরপর কার্তিকেয়া সন্তোষের হাত থেকে ব্যাট নিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশে আঘাত করতে থাকে। মারার সময় তারা বলতে থাকে, আমাকে মেরে ফেলার পরই তারা দলে সুযোগ পাবে বলে জানিয়েছেন চন্দ্রন।’

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy