টানা তিন সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। গ্রুপপর্বে হংকংকে হারিয়ে শুভ সূচনা করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ৩২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে হেরে বড় ধাক্কা খেলো টাইগাররা।
এই হারের ফলে সুপার ফোর নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে মেলাতে হবে কঠিন সমীকরণ।
লিটন-মুস্তাফিজদের জন্য সুপার ফোরের পথ খোলা রাখতে লঙ্কানদের বিপক্ষে জয় দরকার ছিল। যদিও সেখানে এসেই ব্যর্থ বাংলাদেশের টপ অর্ডার।
লঙ্কানদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ব্যাটাররা।
৫৩ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন জাকের আলি ও শামিম হোসেন পাটোয়ারী।
বাংলাদেশের দেওয়া ১৪০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রীতিমতো উড়ন্ত জয় তুলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
এশিয়া কাপের হাইভোল্টেজ এই ম্যাচে টাইগারদের ৬ উইকেটে পরাজিত করেছে লঙ্কানরা। এমন হারের পর দ্বিতীয় রাউন্ডের পথ বেশ খানিকটা কঠিনই হয়ে গেল বাংলাদেশ দলের।
শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলের ৩ নম্বরে রয়েছে ২ পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশ।
নিয়ম অনুযায়ী, টেবিলের শীর্ষ দুই দল যাবে সুপার ফোরে।
১ নম্বরে থাকা আফগানিস্তান এবং ২ নম্বরে থাকা শ্রীলঙ্কার পয়েন্টও ২। তবে নেট রান রেটে তারা বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে।
সুপার ফোর নিশ্চিত করতে হলে আফগানিস্তানকে হারাতেই হবে বাংলাদেশকে।
তবে শুধু হারালেই হেবে না শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে লিটন দাসদের। প্রার্থনা করতে হবে শ্রীলঙ্কাও যেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতে যায়।
তখন আফগানরা খেলা শেষ করবে ২ পয়েন্ট নিয়ে। ৪ পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশ এবং ৬ পয়েন্ট পাওয়া শ্রীলঙ্কা কাটবে সুপার ফোরের টিকিট।
আফগানদের কাছে হেরে গেলে বাংলাদেশের সুপার ফোরের আশা কার্যত শেষই বলা চলে।
তবে যদি হংকং শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দেয় এবং আফগানিস্তানও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দেয় তখন বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট হবে সমান ২।
এরপর নেট রান রেটে এগিয়ে থাকা দল যাবে সুপার ফোরে।
বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর, প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর হংকংয়ের বিপক্ষে খেলবে শ্রীলঙ্কা।
আপাতত, সুপার ফোরের রাস্তা চালু রাখতে আফগানদের বিপক্ষে জয়ের কোনো বিকল্পই নেই বাংলাদেশের সামনে।
এখন দেখার বিষয়, টাইগাররা কি না পারবে কঠিন সমীকরণ মিলিয়ে সুপার ফোরে জায়গা করে নিতে।

