ইলেকট্রনিক স্পোর্টস বা ই-স্পোর্টস এখন সারা বিশ্বেই ব্যাপক জনপ্রিয়। ফিফা ই–বিশ্বকাপের জন্য খেলোয়াড় খুঁজছে বাফুফে।
প্রথমবারের মতো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) খেলোয়াড় বাছাইয়ের আয়োজন করতে যাচ্ছে।
ফিফা বিশ্বকাপের মতোই ‘ই-ফুটবল বিশ্বকাপ’-এ খেলোয়াড়রা নিজ নিজ দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেন।
ডিসেম্বরে সৌদি আরবের রিয়াদে বসছে ফিফা ই-ফুটবল বিশ্বকাপের আসর, যেখানে এবার প্রথমবারের মতো অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ।
বাফুফে জানায়, বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা তিনটি গেমে অংশ নিতে পারবেন— ই-ফুটবল কনসোল, ই-ফুটবল মোবাইল এবং রকেট লিগে।
সেখান থেকে বাছাই হয়ে ই-ফুটবল কনসোলে ৩টি দল এবং মোবাইল বিভাগে ৪ জন খেলোয়াড় বিশ্বকাপের মূলপর্বে উঠতে পারবেন।
রকেট লিগের কোয়ালিফিকেশন প্রক্রিয়া পরবর্তীতে জানানো হবে।
- ই-ফুটবল কনসোল সেগমেন্ট: রেজিস্ট্রেশন ২৪-২৯ আগস্ট।
- ই-ফুটবল মোবাইল ফাইনাল রাউন্ড: ২০ সেপ্টেম্বর।
- রকেট লিগ সেগমেন্ট: রেজিস্ট্রেশন ২৫ আগস্ট-১২ সেপ্টেম্বর, ফাইনাল রাউন্ড ৪ অক্টোবর।
আজ বাফুফেতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন,
‘আমরা আরেকটা যাত্রায় পা দিলাম। সেটা হলো ই-স্পোর্টস। সব খেলা ই-স্পোর্টসের আওতায় পড়ে। আমরা শুধু ফুটবল নিয়ে কাজ করব। আমরা আশাবাদী, অন্যান্য দেশ যেভাবে ই-স্পোর্টসের মাধ্যমে ফুটবলে এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশও সেভাবে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবে।’
ই-ফুটবল কনসোল, মোবাইল ও রকেট লিগ—তিন বিভাগের বাছাই যথাক্রমে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর, ২০ সেপ্টেম্বর ও আগামী ৫ অক্টোবর শেষ হবে।
বাছাইকৃত প্রার্থীরা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন এশিয়া-ইস্ট ও ওশেনিয়া অনলাইন রিজিওনাল কোয়ালিফায়ারর্সে।
সেখান থেকে কনসোল বিভাগে ৩টি দল এবং মোবাইল বিভাগে ৪ জন খেলোয়াড় সরাসরি রিয়াদে অনুষ্ঠিত ফিফা ই-ওয়ার্ল্ড কাপে খেলার সুযোগ পাবেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিযোগিতামূলক ভিডিও গেমিংকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ও বৈধতা দেওয়ার ধারায় এখন যুক্ত বাংলাদেশও।
গত ১৩ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনে ‘ই-স্পোর্টসকে’ এই স্বীকৃতি দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।