খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

শুক্রবার, ১লা আগস্ট ২০২৫

ফের জাতীয় স্টেডিয়ামে চরম বিশৃঙ্খলা; গ্যালারিতে বাক-বিতণ্ডায় সাবেকরা

বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের জন্য বিকেল ৫টায় প্রবেশপথ বন্ধের কথা জানিয়েছিল বাফুফের টিকেটিং পার্টনার টিকিফাই। তবে সেটা সম্ভব হয়নি। বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত গেইটের বাইরে ছিলেন অপেক্ষমান ফুটবল ভক্তরা।
এর মাঝেই ফের জাতীয় স্টেডিয়ামে চলে চরম বিশৃঙ্খলা। এমনকি গ্যালারিতে বাক-বিতণ্ডায় লিপ্ত হন সাবেকরাও।

এদিকে, স্টেডিয়ামের ১ নম্বর গেইটে ছিল বাংলাদেশ ফুটবল আল্ট্রাস সমর্থকদের বড় অংশ।

শুরুতে তাদের অবস্থানের বাধায় পড়েন বাফুফের একাধিক কর্মকর্তার গাড়ি। পরে তাদেরকে একপর্যায়ে শান্তিপূর্ণভাবেই প্রবেশ করানো হয়।

ভুটান ম্যাচের মতো এদিনও বিশৃঙ্খলার কেন্দ্রে ছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) সংলগ্ন ৪ নম্বর গেইট।

গেইটের বাইরে কালোবাজারি টিকেট নেওয়ার প্রচেষ্টা থেকেই প্রথম গোলযোগের শুরু। সমর্থকদের মাঝে শুরু হওয়া উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্যরা।

এই সময়েই টিকিট চেকিংয়ের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে মূল ফটকে চলে আসেন ভক্তরা।

একপর্যায়ে ৪ নম্বর গেইট খুলে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। মুহূর্তের মাঝেই শত শত আল্ট্রাস দর্শক স্লোগান দিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশের বিভিন্ন গেইটে জড়ো হন।

১৪, ১৫ এবং ১৮ নম্বর গেইটের সামনে জড়ো হন শত শত সমর্থক।

এসময় তাদের মুখে,

“নো আল্ট্রাস, নো ফুটবল”, “উই আর আল্ট্রাস”
-এসব স্লোগান শুরু হয়।

একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করেন। পুরোটা সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিপাকের মুখে পড়েছিলেন একাধিক সাংবাদিক–ও।

এদিকে, প্রায় একইসময়ে জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারিতেও বেড়েছে দর্শক সমাগম। ১৮ হাজার ৩০০ ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়াম এখন অনেকটাই স্বাগতিক দর্শকে পরিপূর্ণ।

ফের জাতীয় স্টেডিয়ামে চরম বিশৃঙ্খলা; গ্যালারিতে বাক-বিতণ্ডায় সাবেকরা

স্টেডিয়ামের গেটের বিশৃঙ্খলার মতো গ্যালারিতেও ঘটেছে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।

জাতীয় দলের নারী ফুটবলাররা ও সাবেক জাতীয় ফুটবলারদের অনেকে মিডিয়া বক্সের নিচের গ্যালারিতে বসেছিলেন।
নারী ফুটবলার ও সাবেক তারকাদের সঙ্গে সাধারণ দর্শকও ছিলেন কয়েকজন।

কিংবদন্তি ফুটবলার সৈয়দ রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বির, আলফাজ আহমেদ ও বিপ্লব ভট্টাচার্য্যসহ আরও কয়েকজন সাবেক একসঙ্গে বসেছিলেন।

খেলা শুরু হওয়ার ঘণ্টা খানেক আগে কিংবদন্তি ফুটবলার সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালী সাব্বিরকে উত্তেজিত ভঙ্গিতে দেখা যায়।

সাবেক এই তারকা ফুটবলারের উদ্দেশ্যে সমর্থকদের দুই-একজন আবার আঙুল উঁচিয়ে উচ্চবাচ্য করছিলেন। বাফুফের এক স্টাফ উভয় পক্ষকে শান্ত করেন ১০ মিনিট সময় ব্যয় করে।

বাংলাদেশের ফুটবলের সোনালী দিনের তারকা রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বির। দেশের অন্যতম কিংবদন্তি ফুটবলার আলফাজ আহমেদ।
সাধারণ দর্শকদের সঙ্গে আসন নিয়ে কথা চালাচালিতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি হয়।

এমন পরিস্থিতির জন্য বাফুফেই দায়ী। সাবেক তারকা ফুটবলারদের আরও সংরক্ষিত কিংবা উন্নত পর্যায়ের ভিআইপি টিকিট প্রদান করতে পারলে এরকম পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব ছিল বলে মনে করেন অনেকে।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy