খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

শুক্রবার, ১লা আগস্ট ২০২৫

রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজেও ফুটবলপ্রেমীদের জনস্রোত

বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচ দেখার জন্য জাতীয় স্টেডিয়াম এলাকায় আজ (১০ জুন, মঙ্গলবার) দুপুর থেকেই দর্শকদের ব্যাপক ভীড়। বাংলা ক্যালেন্ডারে জ্যৈষ্ঠ মাসের ২৭ তারিখ, কাঠফাটা রোদে পুড়ছিলেন জনস্রোত। এরপরই বিকালে আকস্মিক বৃষ্টিতেও ভিজলের তারা।
রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজেও ফুটবলপ্রেমীদের জনস্রোত, বাংলাদেশের ফুটবলের দিনটা যে সত্যি বদলেছে।

এএফসি এশিয়ান বাছাইপর্বে বাংলাদেশের প্রথম হোম ম্যাচ। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে সন্ধ্যা সাতটায় মুখোমুখি হবে জামাল-হামজারা।

এই ম্যাচকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই উত্তপ্ত ছিল ফুটবল পাড়া। সেটার এক ক্ষুদ্র প্রমাণ বলা চলে ভক্তদের এই দীর্ঘ লাইনকে।

পল্টন মোড় থেকে শুরু করে স্টেডিয়ামের সবগুলো প্রবেশপথ যেন ফুটবল ভক্তদের দখলে। ভুটান ম্যাচে ভোগান্তির তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে অনেকেই আজ মাঠে হাজির হয়েছেন বেশ আগেভাগে।

পল্লবী থেকে আসা সমর্থক শাহেদ জানান, ভুটান ম্যাচে টিকিট থাকার পরেও মাঠে প্রবেশ করতে পারেননি তিনি। এবারে তাই অনেকটা সময় হাতে নিয়েই চলে এসেছেন জামাল-হামজা-সামিতদের সমর্থন করতে।

বাংলাদেশের ফুটবল ফেডারেশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, গেট খোলা হয়েছে দুপুর ২টায়। সাধারণ ভক্তরা মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজেও ফুটবলপ্রেমীদের জনস্রোত  তবে, বিকেল ৪টার পর আকস্মিক বৃষ্টি হয় এক পশলা। অনেক সমর্থক টিকিট প্রিন্ট করে এনেছিলেন। আকস্মিক বৃষ্টিতে তাদের অনেকেই সেই টিকিট রক্ষা করতে পারেননি।
টিকিট ভিজলেও গ্যালারিতে প্রবেশ করতে অবশ্য কষ্ট হয়নি তাদের।

বৃষ্টির আগেই অনেক দর্শক গ্যালারিতে পৌঁছেছিলেন। জাতীয় স্টেডিয়াম সংস্কারের পর সাধারণ গ্যালারিতে শেড বসেছে। গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের অনেকে বৃষ্টি থেকে বেঁচেছেন।

সমর্থকদের মতো বৃষ্টিতে ভিজেছেন নিরাপত্তা কর্মী ও টিকিট ব্যবস্থাপনার লোকজনও। সবাই সবার জায়গা থেকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বৃষ্টিতে ভিজে কিংবা রোদে পুড়েই।

রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজেও ফুটবলপ্রেমীদের জনস্রোত

আধ ঘণ্টারও বেশি সময় বৃষ্টি হলেও মাঠে অবশ্য তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। বৃষ্টিতে পানি জমতে দেখা যায়নি। বরং বৃষ্টির পানিতে ঘাসের সজীবতা আরও একটু বেড়েছে।
বৃষ্টি হওয়ার পর গরমের তীব্রতা খানিকটা কমেছে। যা দর্শক ও খেলোয়াড় উভয়ের জন্যই স্বস্তির।

হামজা-জামালদের ম্যাচ দেখতে এসেছেন নারী ফুটবলাররা। প্রত্যাশার কথা জানিয়ে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার বলেন,

‘আমরা সবাই খেলা দেখতে এসেছি। বাংলাদেশ জিতবে এই প্রত্যাশা করছি। অনেক দর্শক এসেছে। আশা করি সবাই ভালো ম্যাচ দেখতে পারবে।’

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy