বাংলাদেশের হয়ে টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ডাকের রেকর্ড সাকিবের
রেকর্ডের বরপুত্র সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের হয়ে গড়েছেন অসংখ্য রেকর্ড। কাল রাতেও এমন একটি রেকর্ড যোগ হয়েছে তাঁর নামের পাশে যা তিনি চাননি তা নিশ্চিত।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ডাকের (সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউট) রেকর্ড এখন সাকিবের।
পিএসএলে কাল রাতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৯৫ রানের জয়ে ফাইনালে উঠেছে লাহোর কালান্দার্স। এ ম্যাচে লাহোরের ইনিংসে আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২ বলে ০ রানে আউট হন সাকিব।
করাচির বিপক্ষে আগের ম্যাচে (২২ মে) লাহোর জিতলেও সাকিবকে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি। তবে এই ম্যাচের চার দিন আগে পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে সাতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ বল খেলে শূন্য রানে আউট হন সাকিব।
অর্থাৎ ‘গোল্ডেন ডাক’ মারেন।
লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিংয়ে নামায় রান তোলার তাড়া ছিল। ছয় মাস পর ক্রিকেটে ফিরে টানা দুই ম্যাচে রান তোলার তাড়ায় ব্যাটিংয়ে নেমে দুবারই শূন্য রানে আউট হলেন সাকিব।
কাল রাতে শূন্য রানে আউট হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ডটি তাঁর হয়ে যায়।
এর আগে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে এ সংস্করণে সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউট হওয়ার বিব্রতকর রেকর্ডটি ছিল সৌম্য সরকারের। ২৩৭ ম্যাচে ২৩২ ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩১ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন সৌম্য।
সাকিব কাল শূন্য রানে আউট হয়ে সৌম্যকে দিলেন মুক্তি। নামের পাশে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে যোগ করেছেন ৩২টি ‘ডাক’—অর্থাৎ ৩২ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন বাংলাদেশের এই কিংবদন্তি।
ইনিংস সংখ্যা অনুযায়ী টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪১০ ইনিংস খেলে ৩২ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন সাকিব। সৌম্য সেখানে ২৩২ ইনিংসেই মেরেছেন ৩১টি ‘ডাক’।
অর্থাৎ সাকিবের তুলনার সৌম্যর শূন্য রানে আউট হওয়ার সম্ভাবনার হার বেশি।
অন্যদিকে, বয়স ও সময়ের হিসেবেও পরবর্তীতে সৌম্য নিজের জায়গা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড সাকিবের মতোই একজন স্পিন অলরাউন্ডারের। সুনীল নারাইন। ক্যারিবিয়ান এই ক্রিকেটার ৩৫৮ ইনিংসে ৪৮ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন।
আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার রশিদ খান এ তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় ইংল্যান্ডের ওপেনার অ্যালেক্স হেলস।
শুধু এই তিনজনই অন্তত ৪০ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। ২৮২ ইনিংসে ৪৫ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন রশিদ। ইংলিশ ওপেনার হেলস ৪৯২ ইনিংসে ৪৪ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন।
টি-টোয়েন্টিতে অন্তত ১২ জন ব্যাটসম্যান অন্তত ৩০ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে শুধু সাকিব আর সৌম্যই আছেন এই তালিকায়। বাংলাদেশের সাবেক ওপেনার ইমরুল কায়েস ১৭৪ ইনিংসে ২২ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন।
অর্থাৎ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউট হওয়ার তালিকায় তিনে ইমরুল।
২৮০ ইনিংসে ২০ বার শূন্য রানে আউট হয়ে চারে তামিম ইকবাল। মুশফিকুর রহিম ২৬৫ ইনিংসে ১৯ বার শূন্য রানে আউট হয়ে পাঁচে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউট হওয়ার তালিকাতেও সৌম্য ও সাকিবের ওপরে কেউ নেই।
৮৬ ইনিংসে ১৩ বার শূন্য রানে আউট হয়ে শীর্ষে সৌম্য। ১২৭ ইনিংসে ৯ বার শূন্য রানে আউট হয়ে দুইয়ে সাকিব। ৯৩ ইনিংসে ৮ বার শূন্য রানে আউট হয়ে তিনে মুশফিক।
তিন সংস্করণ মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন তামিম। ৪৪৮ ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছেন ৩৬ বার।