অবৈধ বেটিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করলেন দি মারিয়া ও পারেদেস
ইতালিয়ান সিরি আ–তে অবৈধ বেটিংয়ের তদন্তে অভিযুক্ত হিসেবে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপজয়ী আনহেল দি মারিয়া ও লিয়ান্দ্রো পারেদেসের নাম উঠে এসেছে। তাঁদের পাশাপাশি অতীত ও বর্তমানের আরও ১০ জন খেলোয়াড় অভিযুক্ত হয়েছেন। কিন্তু দি মারিয়া ও পারেদেস অবৈধ বেটিংয়ের সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন।
ইতালির সংবাদমাধ্যম কোরিয়েরে দেয়া সেরা জানিয়েছে, গত বছর বেটিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতায় অভিযুক্ত ও শাস্তি পাওয়া ফুটবলার সান্দ্রো তোনাল্লি ও নিকোলো ফাগিওলির ফোন যাচাই করে দেশটির বিচারক অ্যাথলেটদের একটি নেটওয়ার্ক আবিষ্কার করেছেন, যারা নিয়মের বাইরে বিভিন্নভাবে নিয়মিতই বেটিং করেছে।
তোনাল্লি এসি মিলানের সাবেক মিডফিল্ডার। এখন খেলছেন নিউক্যাসল ইউনাইটেডে। গত বছর বেটিংয়ের প্রতি নিজের আসক্তির কথা স্বীকার করেন ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার এবং সে জন্য ১০ মাস নিষিদ্ধও হন।
ফাগিওলি জুভেন্টাস থেকে ফিওরেন্তিনায় এখন ধারে খেলছেন। বেটিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতায় গত বছর সাত মাস নিষিদ্ধ হওয়া ফাগিওলি জুভেন্টাসে দি মারিয়া ও পারেদেসের সতীর্থ ছিলেন।
বেটিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অস্বীকার করেছেন আর্জেন্টিনার হয়ে ২০২২ বিশ্বকাপজয়ী উইঙ্গার দি মারিয়া। আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের জার্সি তুলে রাখলেও বেনফিকার হয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়া এই তারকা নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন,
‘সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদনগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে স্পষ্ট করতে চাই, আমি কখনো কোনো রকম অবৈধ বেটিং করিনি।’ রোমার ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার পারেদেসও নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, ‘সাম্প্রতিক গুঞ্জনের পরিপ্রেক্ষিতে স্পষ্ট করতে চাই, আমি কখনো কোনো ধরনের অবৈধ বেটিং করিনি এবং এর সঙ্গে নিজেকে জড়াইনি।’
কোরিয়েরে দেয়া সেরা জানিয়েছে, ‘তদন্তের অধীন থাকা খেলোয়াড়দের কেউই নিজেদের ম্যাচ ছেড়ে দেননি।’ সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে ‘তারা মূলত অন্য সব (বেটিংয়ের বাইরে) বিভাগে খেলেছেন’।
এর কারণ হিসেবে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আকর্ষণীয় বেতনের বাইরে তাঁরা নিজেদের আরও সমৃদ্ধ করতে চাননি, বরং অনুশীলন ক্যাম্পে অবসর সময় কাটাতে তাঁরা এটা করেছেন।’
দুটি অবৈধ অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্মে অর্থ বিনিয়োগের অভিযোগ উঠেছে সিরি আ–র খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে।
তদন্তকারীদের মতে, মিলানে ‘একটি অলংকারের দোকানের তিনজন ব্যবস্থাপক তাঁদের সাহায্য করেছেন’ এবং ‘গোপনে বেটিং অ্যাকাউন্টগুলোর হিসাব–নিকাশ ঠিক রাখতে’ তাঁরা এই অলংকারের দোকানকে ‘ব্যাংক’ হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
কোরিয়েরে দেয়া সেরা জানিয়েছে, ‘এই আইন লঙ্ঘন দণ্ডের দৃষ্টিকোণ থেকে বড় কোনো সমস্যা না। ২৫০ ইউরো জরিমানাতেই সব চুকে যেতে পারে। কিন্তু শৃঙ্খলার জায়গা থেকে শাস্তিটা খেলোয়াড়দের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
এই তদন্তে অভিযুক্ত হিসেবে জড়িত অন্যরা হলেন আলেসান্দ্রো ফ্লোরেঞ্জি (এসি মিলান), নিকোলো জানিলো (ফিওরেন্তিনা), মাত্তিয়া পেরিন (জুভেন্টাস), ওয়েস্টন ম্যাককেনি (জুভেন্টাস), রাউল বেলানোভা (তুরিনো), স্যামুয়েল রিচি (তুরিনো), ক্রিস্টিয়ান বুয়োনাইতো (পাদোভা), মাত্তেও কানসেল্লিয়েরি (পার্মা), জুনিয়র ফিরপো (লিডস) এবং টেনিস খেলোয়াড় মাত্তেও জিগান্তে। তাঁদের বাইরেও অ্যাথলেট নন, এমন ১০ জন অভিযুক্ত হয়েছেন।