এশিয়া কাপে রেকর্ড চ্যাম্পিয়নদের গ্রুপে বাংলাদেশ
প্রথমবারের মতো নারী এশিয়ান কাপ ফুটবলে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশ গ্রুপপর্বের ড্র-তে রেকর্ড চ্যাম্পিয়নদের গ্রুপে পড়েছে।
বাংলাদেশের মেয়েরা গ্রুপ সঙ্গী হিসেবে পেয়েছে ৯ বারের চ্যাম্পিয়ন চীন, উত্তর কোরিয়া ও উজবেকিস্তানকে। তিন দলই র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ঢের এগিয়ে।
সিডনি টাউন হলে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ড্রয়ে ‘বি’ গ্রুপে ফিফা র্যাঙ্কিং অনুযায়ী বাংলাদেশের সবচেয়ে কাছের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, ৫১তম।
উত্তর কোরিয়া ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে নবম এবং এই প্রতিযোগিতার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চীন ১৭তম।
টুর্নামেন্টের প্রতিযোগী ১২টি দল চার পটে বিন্যস্ত ছিল। ১২ জুন ফিফা প্রকাশিত নারী ফুটবলের র্যাঙ্কিং অনুযায়ী পটগুলো সাজায় এএফসি।
বাংলদেশ ছিল চার নম্বর পটে। ড্র–ও শুরু হয় চার নম্বর পট দিয়ে। ভারতের ফুটবলার সঙ্গীতা চার নম্বর পটের দলগুলোর নাম তোলেন।
ইরানের পর বাংলাদেশের নাম তোলায় তারা ‘বি’ গ্রুপে পড়েছে।
পজিশন অনুযায়ী ওই গ্রুপে বাংলাদেশ তৃতীয় দল। সেটা তোলেন আরেকজন। আর ‘সি’ গ্রুপের তৃতীয় দল হয় ভারত।
চার নম্বর পটের পর তৃতীয় পটের ড্র হয়।
সেখানে ছিল ফিলিপাইন, চাইনিজ তাইপে ও উজবেকিস্তান। দ্বিতীয় পট থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে উজবেকিস্তান উঠায় বাংলাদেশের বি গ্রুপে পড়ে।
দ্বিতীয় পটে ছিল চীন, ভিয়েতনাম ও দক্ষিণ কোরিয়া। প্রথমে দক্ষিণ কোরিয়ার নাম ওঠে। তারা ‘এ’ গ্রুপে পড়ে।
ভিয়েতনাম ও চীনের মধ্যে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের প্রত্যাশা ছিল ভিয়েতনাম উঠুক দ্বিতীয় দল হিসেবে।
কিন্তু দ্বিতীয় পট থেকে নাম তোলা ব্যক্তি দ্বিতীয় দল হিসেবে চীনের নাম তোলেন। ফলে বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে পড়েছে। চীন এশিয়ান কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন।
এক নম্বর পটে ছিল অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও উত্তর কোরিয়া।
অস্ট্রেলিয়া স্বাগতিক হিসেবে ‘এ’ গ্রুপের প্রথম দল, ফলে জাপান ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে একটি দল ‘বি’ এবং ‘সি’ গ্রুপে পড়বে। বাংলাদেশের ‘বি’ গ্রুপে পড়ে উত্তর কোরিয়া।
২০০৬ সালের পর অস্ট্রেলিয়া আবারও নারী এশিয়া কাপের স্বাগতিক হচ্ছে।
তাদের হয়ে এই প্রতিযোগিতায় খেলা ফুটবলার আগামী বছর এশিয়া কাপের সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন।
আজ ড্র অনুষ্ঠানে এক বক্তব্যে তিনি বলেন,
‘এটা আমার জন্য খুব সৌভাগ্যের। আমি নিজে ২০০৬ সালে অ্যাডিলেডে এশিয়া কাপ খেলেছি। ২০ বছর পর আরেকটি নারী এশিয়া কাপে সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছি। অস্ট্রেলিয়া এই টুর্নামেন্টটি সবদিক থেকে বিগত যেকোনো আসরের চেয়ে সফল করতে চায়। আশা করি সফরকারী ১১ দলের খেলোয়াড়, ফুটবলারদের পরিবার এই আসর উপভোগ করবে।’
সিডনি টাউন হলে এএফসি ও অস্ট্রেলিয়া বেশ বড় আয়োজন করেছে।
যেখানে পরিবেশিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ান নৃত্য। টুর্নামেন্টের ভেন্যু ও দল নিয়ে বেশ সুন্দর ভিডিও প্রোমো হয়েছে।
এএফসি’র নারী উইংয়ের প্রধান বলেন,
‘এএফসি নারী ফুটবলের অগ্রগতি নিয়ে কাজ করছে। এবারই প্রথম ১২ দল নিয়ে টুর্নামেন্ট হচ্ছে। যা নারী ফুটবলের বিকাশ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সহায়তা করবে।’
তারা রুস্টন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া ফুটবল ফেডারেশনের শীর্ষ কর্তারাসহ অস্ট্রেলিয়ান সরকার এবং এএফসি কর্তারা।
গ্রুপিং :
এ– অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান ও ফিলিপাইন
বি– উত্তর কোরিয়া, চীন, বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তান
সি– জাপান, ভিয়েতনাম, ভারত ও চাইনিজ তাইপে