এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে সিটির বিদায়; শেষ ষোলয় মাদ্রিদ
মাদ্রিদে যাওয়ার আগেই ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা বলেছিলেন, রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে তার দলের জেতার সম্ভাবনা মোটে ১ শতাংশ। পরে সেই কথা ফিরিয়ে নিয়েছিলেন বটে। তবে রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠের অতীত তো আর ভুলে যাওয়া চলে না। গার্দিওলা নিজেও জানেন, এই দলকে থামানো কতটা কষ্টকর হতে পারে।
সেটারই নতুন নজির গতকাল তিনি দেখেছেন বার্নাব্যুর সবুজ গালিচায়। এক কিলিয়ান এমবাপ্পেকে থামানোর পর্যাপ্ত রসদই যোগাড় করতে পারেননি স্প্যানিশ এই কোচ। ফ্রেঞ্চ সেনসেশন এমবাপ্পে পেয়েছেন হ্যাটট্রিক। সিটির নিকো গঞ্জালেস দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে ম্যান সিটির হয়ে সান্ত্বনাসূচক একটি গোল করেন। আর তাতে বিধ্বস্ত এক মন নিয়েই ম্যানচেস্টারের ফ্লাইট ধরতে হচ্ছে গার্দিওলা শিষ্যদের।
রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ৩-১ গোলের এই হারের ফলে চলতি মৌসুমে ইউরোপিয়ান অধ্যায় শেষ ম্যানসিটির জন্য। বিপর্যয়ের ঘূর্ণিপাকে থাকা দলটার জন্য একদিক থেকে এই হারটাই স্বস্তির। ইংলিশ ফুটবলে এখন পূর্ণ মনোযোগ দেয়ার সময় তার দলের।
ম্যাচের ৫ মিনিটের মাথায় নিজেদের অর্ধ থেকে রাউল অ্যাসেনসিও বল বাড়ান কিলিয়ান এমবাপ্পের উদ্দেশ্যে। গোলটা তিনি করেছেন একেনারেই চিরচেনা ঢঙে। গায়ে গায়ে লেগে থাকা দুই ডিফেন্ডারকে ছিটকে এমবাপ্পের মাপা এক চিপ। সিটি গোলরক্ষক এদেরসনের মাথার ওপর দিয়ে যাওয়া বলটা রিয়ালকে এগিয়ে দেয় ১-০ গোলে।
খানিক পরেই সিটির বিপদ আরও বাড়িয়ে ইনজুরিতে মাঠ ছাড়েন জন স্টোনস। এটারই সুযোগ নিয়ে একের পর এক আক্রমণে সিটির নাভিশ্বাস তুলে ছাড়ে রিয়াল আক্রমণভাগ। যার ফল আসে ৩৩ মিনিটে। নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করে সিটির বিদায় অনেকটাই নিশ্চিত করে দেন এমবাপ্পে।
বিরতির পরও ম্যাচের স্ক্রিপ্টে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ম্যানসিটির বিদায়টা তখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। তবে এমবাপ্পের জন্য ম্যাচটা ছিল বিশেষ কিছু। ফ্রেঞ্চ তারকার দুরন্ত ফর্মের ফল রিয়াল পায় ৬১ মিনিটে। নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন রিয়ালের নাম্বার নাইন।
শেষ দিকে সিটির নতুন সাইনিং নিকো গঞ্জালেস একটি গোল শোধ করেন। কিন্তু তা দিয়ে রিয়ালের বিপক্ষে স্কোরশিট সমৃদ্ধ করার বাইরে আর কিছুই করতে পারেনি ম্যানসিটি।