খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

শনিবার, ২২শে মার্চ ২০২৫

বড় হারের তকমা লাগিয়েই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পা রাখছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ ব্যাটিং। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতি ম্যাচেও সেই চিত্র বদলায়নি একটুও। পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে একমাত্র আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যর্থ ছিল টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপ। অল্প পুঁজি নিয়ে খুব একটা লড়াই করতে পারেননি বোলাররাও। ফলে, মূল পর্বে পা রাখার আগেই বড় হার সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের। 

দুবাইয়ের আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি মাঠে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে ৩৮ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০২ রানের স্বল্প পুঁজি গড়ে বাংলাদেশ। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৪ ওভার ৫ বলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান ‘এ’ দল।

ব্যাটাররা বড় পুঁজি এনে দিতে না পারলেও বোলিংয়ে শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। নতুন বলে আঁটসাঁট বোলিং করেছে টাইগাররা। প্রথম পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তান ‘এ’ দলকে ৪২ রানের বেশি করতে দেয়নি তারা। বিপরীতে তুলে নেয় দুই উইকেট। পাওয়ার প্লে শেষেও নিয়ন্ত্রিত বোলিং করছিল বাংলাদেশ, বিশেষ করে পেসাররা। তাতে একশ ছোঁয়ার আগেই পাকিস্তান ‘এ’ দলের তিন উইকেট তুলে নিয়েছিল টাইগাররা। ফলে কিছুটা হলেও ম্যাচে ফিরেছিল বাংলাদেশ। তবে সেই ধারবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি বোলাররা। ফলে ৭ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে পাকিস্তান ‘এ’ দল।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। সর্বশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দুর্দান্ত ব্যাটিং করা তানজিদ হাসান তামিম দুবাইতে এসে ব্যর্থ। বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস ওপেন করতে নেমে ৬ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। আলি রেজার বলে বোল্ড হয়েছেন এই ওপেনার। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি শান্ত। তামিমের পথেই হেটেছেন অধিনায়ক। অথচ দ্রুত উইকেট হারানোর পর দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। উল্টো নিজের উইকেট বিলিয়ে দলকে আরো বিপদে ফেলেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। মুবাশ্বির খানকে ফিরতি ক্যাচ দেওয়ার আগে শান্তর ব্যাট থেকে এসেছে ১২ রান।

তামিম-শান্ত ব্যর্থ হলেও আরেক প্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন সৌম্য সরকার। সদ্য সমাপ্ত বিপিএল দিয়ে চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরেছেন এই ওপেনার। তবে তার মাঠের পারফরম্যান্সে সেটার কোনো ছাপ ছিল না। সৌম্যের ব্যাটে ভর করেই শুরুর পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান তোলে বাংলাদেশ। ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি সৌম্য। কপালের দোষেই সাজঘরে ফিরতে হলো এই টপ অর্ডার ব্যাটারকে! রান আউটে কাটা পড়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৮ বলে ৩৫ রান।

সৌম্যের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। চারে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন তিনি। তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন তাওহিদ হৃদয়। তবে ১৯ রানের বেশি করতে পারেননি এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। হৃদয়ের বিদায়ের পরই ধস নামে বাংলাদেশের ইনিংসে। দুর্দান্ত ব্যাটিং করা মিরাজ সাজঘরে ফিরেছেন হাফ সেঞ্চুরি না পাওয়ার হতাশা নিয়ে। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫৩ বলে ৪৪ রান। মিডল অর্ডারে ব্যর্থ মুশফিক-জাকের আলিরা। তাতে দেড়শর আগেই ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

দলের এমন বিপর্যয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন তানজিম সাকিব ও রিশাদ হোসেন। তবে ১৫ বলে ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি রিশাদ। আর সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছে ২৭ বলে ৩০ রান। তাছাড়া নাসুম আহমেদ করেছেন ১৫ রান। লেজের সারির ব্যাটারদের সম্মিলিত চেষ্টায় কোনোরকমে দুইশ ছুঁয়ে অলআউট হয়েছে টাইগাররা।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy